২০০৩ সালের ফাইনালে ভারতের পক্ষে বোলিং ওপেন করেছিল জহির খান! নার্ভাস জহির কনসিড করেছিল ১৫ রান! অস্ট্রেলিয়া আর ব্যাক ডাউন করেনি! রিকি পন্টিং এর কালজয়ী ইনিংস সহ সব ডিপার্টমেন্টেই ভারতকে ডমিনেট করে শিরোপা জিতে নেয় অজিরা!
২০২৩ সালের ফাইনালে প্রথম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহও কনসিড করল ঠিক ১৫! মাঝে খুব সামান্য সময়ের জন্য মনে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া পথ হারাচ্ছে, সেটা তো বীরেন্দ্র শেবাগের রুদ্রমূর্তি দেখে ২০০৩ সালেও মনে হয়েছিল কিছু সময়ের জন্য! রিকির জায়গায় আজ ট্রেভিস হেড, কালজয়ী এক ইনিংস! সব ডিপার্টমেন্টে ইন্ডিয়া আউটপ্লেইড! ম্যাচের বড় একটা সময় ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা।
ভারত হট ফেভারিট হয়ে সর্বশেষ আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল খেলেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে! হিতে বিপরীত হয়েছিল! উড়ে গিয়েছিল স্রেফ! ফাইনালের আগে প্রায় সকল ক্রিকেট এনালিস্ট ভারতকে হট ফেভারিট বলে দিয়েছিল! অথচ এরা ভুলে গেল এত বড় একটা টুর্নামেন্টে অন্য যে দলটি ফাইনালে এসেছে তারা হাডুডু খেলে আসেনি। দলটির নাম অস্ট্রেলিয়া!
পাঁচবার ট্রফিতে চুমু খেয়েছে, চ্যাম্পিয়ন রক্ত! এরা মাঠে নামে শিকার করতে, ঠিক নেকড়ের প্যাকের মত! সবথেকে দূর্বলটাও রক্তের নেশায় কামড়াবে! আপনি সিংহ নাকি বাঘ, ভুলে যান, আপনি শুধুই শিকার! আফগানদের বিপক্ষেই রক্তের গন্ধ ওরা পেয়ে গেছে!
ইন্ডিয়া আউটপ্লেইড! না, ইন্ডিয়া থেকে কিছুই সরিয়ে নিচ্ছি না, গ্রেট টিম! কিন্তু, অজিরা তাদেরকে বাধ্য করেছে কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে! ফিল্ডিংয়ে ইনটেন্ট, বোলিংয়ে পারফেক্ট প্ল্যান, ইন্ডিভিজুয়াল ম্যাচ আপ, অজিরা গোটা ইন্ডিয়া টিমটাকে নিয়েই গবেষণা করে মাঠে নেমেছে!
ওই যে সিরাজকে বাদ দিয়ে শামিকে দিয়ে নতুন বল করাতে হল, ওই যে টানা ১৬ ওভার বাউন্ডারি না মেরে গুটিয়ে থাকতে হল, ওই যে শিশিরে বল গ্রিপ করবে না জেনে ফাইনালে চেজ করতে চাইল, এগুলো জাস্ট এক্সিলেন্স! ইন্ডিয়া সেভাবেই খেলেছে, যেভাবে অস্ট্রেলিয়া চেয়েছে! ক্রিকেট শুধুই ফর্ম, দর্শক আর মাঠ নয়, ক্রিকেট এখন এনালাইসিস, প্ল্যান এন্ড এক্সিকিউশনের!
অভিনন্দন অস্ট্রেলিয়া! ক্রিকেট যে এখনও প্রেডিকশনের বাইরের একটা গেইম সেটা আরেকবার প্রমাণ করার জন্য! সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট, দর্শক সাপোর্ট, পরিচিত কন্ডিশন সব কিছু থাকার পরও ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন নয়! ক্রিকেট! এ স্পোর্টস উইথ হিজ ওউন মিস্ট্রি!