দিনের আকাশে তীব্র অহংকার বোধ নিয়ে চেয়ে থাকা সূর্যকে চাইলেই কি আড়াল করা যায়? কিংবা রাতের আকাশের চাঁদের শুভ্রতাকে কি ভুলে যাওয়া যায় ? ক্ষণিকের মেঘ বা বর্ষণ হয়তো ছাপিয়ে যায় চাঁদ, সূর্যকে; তবে ঠিক সময়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভুল হয় না তাঁদের। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও এমন, আপনি যতবার তাঁকে পাশে সরিয়ে রাখতে চাইবেন ততবারই তিনি খবরের শিরোনাম দখল করবেন।
সবশেষ সৌদি সুপার কাপের সেমিফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন রোনালদো। এক গোলের পাশাপাশি করেছেন এক অ্যাসিস্ট, তাঁর একক অবদানে আল নাসের পেয়েছে ২-০ গোলের জয়।
আল তাউনের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই ২০২৪/২৫ মৌসুমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি। আর সূচনাতেই রীতিমতো বাজিমাত করেছেন। নতুন মৌসুমেও তাঁর রূপ যে আগের মতই আছে সেটাই বোধহয় প্রমাণ করলেন। এর মধ্য দিয়ে অবশ্য এক পশলা রেকর্ডের বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে গেল তাঁকে। টানা ২৩ মৌসুমে গোল করার বিরল কীর্তি গড়েছেন পর্তুগিজ যুবরাজ।
২০০২ সালের অক্টোবরে নিজের প্রথম পেশাদার গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি, এরপর কেটে গিয়েছে দুই দশকের বেশি সময় অথচ এখনো তাঁর গোল ক্ষুধা একই রকম। আরেকটু ভাল করে বলা যাক, এই স্ট্রাইকার যখন প্রথম গোল উদযাপন করেন তখনো জুড বেলিংহ্যামের কোথাও কোন অস্তিত্ব ছিল না। তাঁর জন্মের এক বছর আগেই রোনালদো গোলের স্বাদ পেয়েছিলেন।
এছাড়া সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিযোগিতায় গোল করার রেকর্ডও ঝুলিতে পুরেছেন সিআরসেভেন। ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২৭টি প্রতিযোগিতায় করেছেন তিনি। পর্তুগিজ লিগ দিয়ে শুরু, এরপর প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি এ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোনটিই বাদ যায়নি তাঁর থাবা থেকে।
ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে ৮৯৬ গোল করে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো, আরাধ্য মাইলফলক দূরত্ব আর মাত্র শ’ খানেক গোল। তিনি যেভাবে ছুটছেন তাতে অবশ্য দূরত্বটা অল্পই ঠেকছে, এখন শুধু তাকিয়ে দেখার পালা; দেখার পালা ঠিক কোথায় গিয়ে থামেন তিনি।