একজন অলরাউন্ডার যেকোন দলেই বাড়তি ব্যালেন্স আনতে সাহায্য করে। বিশেষ করে দলে একজন জেন্যুইন অলরাউন্ডার থাকলে সেই দল একজন বাড়তি বোলার, ব্যাটম্যান খেলানোর সুযোগ পায়। ফলে দলটা অনেক বেশি ভয়ঢরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে। ব্যাটিং কিংবা বোলিং লাইন আপের গভীরতা বাড়ে, শক্তিমত্ত্বা বাড়ে।
ফলে আধুনিক ক্রিকেটে প্রতিটি দলই অলরাউন্ডারদের দলে রাখতে চায়। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলগুলো একাধিক অলরাউন্ডারও রাখার পক্ষে। তাই এই তালিকায় আমরা চেষ্টা করেছিল এই সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারদের জড়ো করতে। যাদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি ভারসাম্যপূর্ণ একাদশ।
- মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ায়র হয়ে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেন মিচেল মার্শ। এছাড়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজিদের বিশ্বকাপ জয়ের পিছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই ব্যাটার। তাই এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকেই আমাদের এই একাদশের ওপেনিং এর দায়িত্বে রাখা হচ্ছে। এছাড়া প্রয়োজনে খানিকটা হাতও ঘুরাতে পারেন তিনি।
- মঈন আলী (ইংল্যান্ড)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো দলই মঈন আলীর মত একজন অলরাউন্ডারকে দলে চাইবে। টপ অর্ডারের দায়িত্ব নিশ্চিন্তে তাঁর কাঁধে তুলে দেয়া যায়। এছাড়া বল হাতেও যথেষ্ট কার্যকর এই স্পিনার। তিনিও থাকবেন আমাদের ওপেনার হিসেবে।
- গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ক্রিকেটারদের একজন গ্ল্যান্ ম্যাক্সওয়েল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও এই ব্যাটসম্যানকে দলে ভিড়ানোর জন্য লড়াই হয়। আর আমাদের এই একাদশে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার খেলবেন তিন নম্বর পজিশনে।
- গ্ল্যান ফিলিপস (নিউজিল্যান্ড)
একজন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান যিনি কিনা বলও ঘুরাতে পারেন এমন ক্রিকেটার পাওয়া কঠিন। তবে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান আমাদের একাদশে থাকবেন কিপার হিসেবেই। তবে সম্প্রতি বল হাতেও ভালোই করছেন এই অফ স্পিনার।
- সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
বিশ্বের যেকোন দলেই জায়গা করে নেয়ার মত অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একেবারে জেন্যুইন অলরাউন্ডার বলতে যা বোঝায় সাকিব ঠিক সেরকমই। ব্যাট, বল দুই ডিপার্টমেন্টেই সমান কার্যকর। তাই আমাদের এই একাদশে মিডল অর্ডারের চাপ সামলাবেন এই অলরাউন্ডার।
- কাইরন পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য এক প্যাকেজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার। শেষের দিকে ব্যাট হাতে দ্রুত কিছু রান করে দেয়ার জন্য তাঁর জুড়ি মেলা ভার। আবার বল হাতেও একইরকম সফল। তাই আমাদের এই একাদশের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করবেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার।
- অ্যান্ড্রু রাসেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
পোলার্ডের মতই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আরেক প্যাকেজের নাম অ্যান্ড্রু রাসেল। এখন আইপিএল সব নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তাঁকে নেয়ার জন্য লড়াই করে দলগুলো। সাত নম্বরে নেমে ঝড়ো ইনিংস ও বল হাতে ব্রেক থ্রু দুটিই সমানতালে করতে পারেন তিনি। ফলে আমাদের একাদশেও অটোম্যাটিক চয়েজ এই অলরাউন্ডার।
- ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের এক নতুন সেনসেশন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। যার লেগ স্পিনে টাল মাটাল হচ্ছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। এছাড়া ব্যাট হাতেও ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলার সামর্থ আছে তাঁর। তবে আমাদের এই একাদশে মূলত স্পিন বোলিং ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বেই থাকবেন হাসারাঙ্গা।
- জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
টি-টোয়োন্টি একাদশে একাধিক ক্যারিবীয় ক্রিকেটার থাকবেনা তা কী করে হয়। পোলার্ড, রাসেলদের মত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের আরেক প্যাকেজ জেসন হোল্ডার। ব্যাট হাতেও দারুণ কার্যকর। তবে সম্প্রতি বল হাতে বেশ নজর কেড়েছেন। তাই আমাদের এই একাদশের পেস বোলিং আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন এই অলরাউন্ডার।
- স্যাম কুরান (ইংল্যান্ড)
স্যাম কুরান আমাদের এই একাদশে মূলত বোলার হিসেবেই খেলবেন। যদিও ব্যাট হাতেও দারুণ কার্যকর তিনি। আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়েও খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। ফলে শেষ দিকে প্রয়োজন হলে কিছু রানও এনে দিতে পারেন এি ইংলিশ ক্রিকেটার।
- ডোয়াইন ব্রাভো (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডারও ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হট কেক। তিনিও আইপিএলে খেলেছেন চেন্নাইয়ের হয়ে। ব্যাট হাতেও দারুণ সব ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি বল নিয়েও বেশি কাজ করছেন এই অলরাউন্ডার। তাই আমাদের একাদশেও বোলিং ডিপার্টমেন্টেই থাকবেন এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার।
- দ্বাদশ ব্যাক্তি: বেন স্টোকস
ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার তাঁর নিজের সময়ের সেরাদের একজন। তবে, টিম কম্বিনেশনের জন্য তাঁকে একাদশে রাখা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি বলেই তিনি একটু পিছিয়ে পড়েছেন, যদিও সেটা বেশ সামান্য ব্যবধানে। একই ভাবে বাদ পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টোয়িনিসও।