ভারত তেরো বছর একটার পর একটা নকআউট থেকে ছিটকে যাচ্ছে। ভাল খেলা, ব্যক্তিগত রান-উইকেটের কচকচি ডিঙিয়ে বিষাদের পাহাড় জমছে কেবল, প্রতিটা বিশ্বকাপ-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ-চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সর্বত্র মোক্ষম সময়ে চোক করছে একটা দল।
আমাদের খামতি কী? এ নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি বুঝি না তেমন। খুব যে বুঝতে চাই আজকাল, তা ও নয়। সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আপনি এলেন কোচ হয়ে। বিরাট-শাস্ত্রী জমানার পর রাহুল-রোহিত জুটি। কোচ-ক্যাপ্টেন। আমাদের আশার গুড়ে শুরুতে যে বালি ছিল, তা মেনে নিতে দ্বিধা নেই।
কী হচ্ছে কিছুই বুঝে উঠতে না পারা হতভম্ব দর্শক গালিগালাজ দিচ্ছে, মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো ব্যাটিং অর্ডার টেস্টিং চলছে। ‘আপনি মশাই জুনিয়ার টিমের কোচই ভাল, এখানে এসে কাজ নেই…’ – এর মতো বিরক্তকর কিছু কুচি; এসব আপনার কাছে অপরিচিত নয়। আপনার ক্রিকেটারজীবন আমাদের শৈশব-কৈশোর জুড়ে। জানি সব। সবটাই!
আমরা চেয়েছিলাম একটা দল, যেখানে ল অফ অ্যাভারেজ, তুকতাক, চোকিং, ইশ, আহা, উহু-র মতো বিরক্তিকর কাঁকড় থাকবে না। লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পন্টিং-এর অস্ট্রেলিয়ার মতো রুথলেস একটা দল চাই যারা প্রতিপক্ষকে পিষে দিয়ে হাসতে হাসতে ট্রফি তুলবে। এই দল গড়ে তোলার ছেনি-হাতুড়ি আপনার হাতে ছিল, আমরা কবেই বা বুঝেছি আপনাকে?
আপনি এখনও বিশ্বজয়ী কোচ নন। কিন্তু একটা বিশ্বজয়ী দলকে কেমন দেখতে হয়, আপনি আমাদের টেলিভিশন স্ক্রিনে দেখিয়ে দিলেন। আর বরাবরের মতো আজও, আপনাকে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না কোথাও, আপনার নি:শব্দ শ্যাডো প্র্যাকটিসের যে পৃথিবী সেখানে আমাদের প্রবেশ অনুমতি কবেই বা ছিল?