শেষ বলে একটা ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের আনন্দ কি আর চাট্টিখানি কথা! তেমন এক দৃশ্যের মঞ্চায়ন করেও রিঙ্কু সিং পারছেন না তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তার সেই ম্যাচজয়ী ছক্কা যে আমলেই নেওয়া হয়নি।
ঘটনাটা ম্যাচের একেবারের অন্তিম ওভারের। তবে এর আগে ২০৯ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া ভারতকে। জস ইংলিশের ৫০ বলে খেলা ১১০ রানের ইনিংস যে সংগ্রহের ভিত্তি। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোচটও খায় ভারত।
দলীয় ২২ রানের মাথায় ভারতের দুই ওপেনার প্যাভিলনে। তবে সেখান থেকে ভারতকে ম্যাচে ফেরান সুরিয়াকুমার যাদব ও ঈশান কিষাণ। ৫৮ রান করে ঈশান আউট হয়ে যান। তবে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সুরিয়া খেলেন রীতিমত অধিনায়কোচিত এক ইনিংস।
মাত্র ৪২ বলে ৮০ রানের এক আগ্রাসী ইনিংসের উপহার দেন তিনি। তাতে জয়ের বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছে যায় ভারত। তবে রোমাঞ্চের তখনও খানিকটা বাকি। শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। খুব দূরহ কোন বিষয় নয়। ক্রিজে আবার রয়েছেন রিঙ্কু সিংয়ের মত দক্ষ ব্যাটার।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এমন পরিস্থিতিতে তো রিঙ্কুরা অভ্যস্ত। তাইতো ২০ তম ওভারে শেন অ্যাবটের প্রথম বলেই চার মেরে সমীকরণ সহজ করে ফেলেন রিঙ্কু। তবে রোমাঞ্চের যে তখনও বাকি। পরবর্তী বলে এক রান দৌড়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে চলে যান বা-হাতি এই ব্যাটার।
স্ট্রাইকে তখন অক্ষর প্যাটেল। বোলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরে যান সাজঘরে। পরের বলে আবার রান নিতে গিয়ে নন স্ট্রাইক প্রান্তে আউট রবি বিষ্ণু। স্বস্তি রিঙ্কুর স্ট্রাইক প্রাপ্তি। তার পরের বলে আবার দুই রান নিতে গিয়ে আরও এক রান আউট। এবার বলি আর্শদ্বীপ সিং।
জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ১ রান। সেই বলেই লং অনের উপর দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রিঙ্কু সিং। তবে না তার মারা ছক্কার আগেই ভারতের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কেননা ২০ তম ওভারের শেষ বলটিতে অ্যাবট ‘নো বল’ করেছিলেন। কার্যত ছক্কা হওয়ার আগেই ম্যাচ জিতে যায় ভারত।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১৬.৫.১ নিয়মানুসারে, টার্গেট পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই ম্যাচের সমাপ্তি ঘটবে। এরপরে ঘটা আর কোন কিছুই আমলে নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র পেনাল্টি রান ছাড়া। সেই আইন মোতাবেক রিঙ্কুর ছয়ে আগেই ম্যাচের ফলাফল ভারতের পক্ষেই ঝুঁকে গিয়েছিল। ঠিক সে কারণেই ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানোর পরিপূর্ণ স্বাদ আর পাওয়া হলো না রিঙ্কুর।