প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো রাজস্থান

হারলে প্লে-অফ আশা শেষ। আর জিতলে অনেক 'যদি' ,'কিন্তু'র উপর টিকে থাকবে সে স্বপ্ন। এমন এক ডু অর ডাই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস আর পাঞ্জাব কিংস। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে এ ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে রাজস্থান রয়্যালস। পাঞ্জাব কিংসকে তাঁরা হারিয়েছে ৪ উইকেটে।  

হারলে প্লে-অফ আশা শেষ। আর জিতলে অনেক ‘যদি’, ‘কিন্তু’র উপর টিকে থাকবে সে স্বপ্ন। এমন এক ডু অর ডাই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস আর পাঞ্জাব কিংস। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে এ ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে রাজস্থান রয়্যালস। পাঞ্জাব কিংসকে তাঁরা হারিয়েছে ৪ উইকেটে।

টসে হেরে এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাঞ্জাব কিংস। ট্রেন্ট বোল্ট আর নভদ্বীপ সাইনির বোলিং তোপে একে একে ফিরে যান প্রভসিমরান সিং, শিখর ধাওয়ান, অথর্ব তাইডে আর লিয়াম লিভিংস্টোন।

৫০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অবশ্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন স্যাম কারেন আর জিতেশ শর্মা। এ দুই ব্যাটার ৬৪ রানের জুটিতে ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে পাঞ্জাব কিংস। অর্ধ-শতকের পথে হাঁটা জিতেশ শর্মা ৪৪ রানে আউট হয়ে ফিরে গেলে এ জুটির ভাঙন ধরে।

তবে স্যাম কারেনের সাথে পরের উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন শাহরুখ খান। এ দুই ব্যাটারের জুটিতে শেষ ৬ ওভারে ৭৩ রান তোলে পাঞ্জাব কিংস। যার মধ্যে শাহরুখ খান খেলেন ২৩ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর অপর প্রান্তে স্যাম কারেন শেষ পর্যন্ত ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন। আর তাদের নিরবচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটিতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৭ রানের দারুণ সংগ্রহ পায় পাঞ্জাব কিংস।

১৮৮ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজস্থান রয়্যালস। কোনো রান যোগ না করেই কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউয়ে ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান জশ বাটলার। যদিও তিনে নামা দেবদূত পাদিক্কালকে নিয়ে সে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠেন আরেক ওপেনার জশস্বী জয়সওয়াল।

এ দুই ব্যাটারের ৭৩ রানের জুটিতে অবশ্য পাদিক্কালই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিলেন। তবে ২৯ বলে অর্ধ-শতক তুলে নেওয়া এ বাঁ-হাতি ব্যাটার ফিরে যান কিছুক্ষণ বাদেই। ৫১ রানে শেষ হয় তাঁর ইনিংস। পাদিক্কালের পর সাঞ্জু স্যামসন এসে এ দিন উইকেটে থিতু হতে ব্যর্থ হন। তাতেই ম্যাচ জয়ের পথে শঙ্কা জেগে ওঠে রাজস্থানের শিবিরে।

যদিও ইনফর্ম ব্যাটার জয়সওয়াল ততক্ষণে উইকেটে টিকে ছিলেন। কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাটিং করে ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নেন। কিন্তু ফিফটি পূরণের পরই এ ব্যাটার সাজঘরে ফিরে যান। অবশ্য শিমরন হেটমায়ার আর রিয়ান পরাগ মিলে রাজস্থানকে জয়ের পথে ঠিকঠাকভাবেই এগিয়ে দিয়েছিলেন।

তবে শেষ দিকে ১০ রানের ব্যবধানে এ দুই ব্যাটারই ফিরে গেলে ম্যাচ হারের শঙ্কায় পড়ে রাজস্থান। ম্যাচ রূপ নেয় শেষ ওভারের রোমাঞ্চে। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ সামলে ধ্রুভ জুরেল ঠিকই রাজস্থানকে জয় এনে দেন। ৩ বলে ৫ রানের সমীকরণের সামনে ডানহাতি এ ব্যাটারের ছক্কাতেই ২ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থানের হয়ে পাদিক্কাল আর জয়সওয়ালের পাশাপাশি ৪৬ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন শিমরন হেটমায়ার।

৪ উইকেটের এ জয়ের অবশ্য প্লে-অফের রাস্তা এখনো মসৃণ হয়নি রাজস্থানের। প্লে-অফের আশায় তাদের চোখ রাখতে হবে আরো দুটি ম্যাচে। কারণ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু আর মুম্বাই ইন্ডিয়ানস পরের ম্যাচে হারলেই তবে প্লে-অফে পা রাখতে পারবে রাজস্থান। আর ১৪ ম্যাচে ৬ জয়ের বিপরীতে ৮ পরাজয়ে সাতে থেকে এবারের মতো আইপিএলে বিদায়ঘন্টা বেজে গেল পাঞ্জাব কিংসের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...