মোহাম্মদ নবী যখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, তাঁর ছেলে হাসান এসাখিল তখন দেশের মাটিতে জন্ম দিলেন অবিশ্বাসের। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মাত্র ৫১ বলে ১৫৬ রান অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন এই তিনি; এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং তাঁকে নতুন করে চিনিয়েছে আফগান সমর্থকদের কাছে।
কাবুল প্রিমিয়ার লিগে (কেপিএল) মুখোমুখি হয়েছিল স্পিনঘার ওয়ারিয়র্স এবং শাহীন হান্টার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে পুরোপুরি আক্রমণাত্মক অ্যাপ্রোচে খেলেছেন হান্টার্সের ক্রিকেটাররা। শেষ পর্যন্ত ইজাজ আহমেদের ক্যামিওতো ভর করে ২০৯ রানের পাহড়সম লক্ষ্য দাঁড় করায় দলটি।
কিন্তু দুইশো পেরুনো লক্ষ্য মামুলি হয়ে উঠেছিল দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই। ওপেনার হাসান প্রথম ওভারেই তিন চার এবং এক ছক্কা হাঁকান। পরের দুই ওভারেও তাঁর তাণ্ডবলীলা চলমান ছিল, ফলে স্রেফ পনেরো বলেই হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন এই ব্যাটার, পাওয়ার প্লে শেষে তাঁর নামের পাশে ছিল ২৯ বলে ৯৯ রান! অথচ অন্যপ্রান্তে জালাত আলী তখন কেবল ১০ রান করেছিলেন সাত বলে – বারোতম ওভারে এসে শেষমেশ আউট হন এই তরুণ, ততক্ষণে অবশ্য উনিশটি ছক্কার মারে ৪৫ বলেই ১৫০ রানের মাইল ফলক স্পর্শ করে ফেলেছেন তিনি।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড আছে ক্রিস গেইলের ঝুলিতে, রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৪৬ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৮বার বলকে উড়িয়ে মাঠের বাইরে ফেলেছিলেন তিনি। তবে কেপিএলের টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস নেই, না হলে এই রেকর্ড চলে যেত উনিশ ছক্কা হাঁকানো আফগান ওপেনারের ঝুলিতে।
অবশ্য এই ডান-হাতি এভাবে খেলতে থাকলে হয়তো টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন শীঘ্রই। কেননা ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের বাড়তি কদর সব সময়ই আছে। তাছাড়া ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে জাতীয় দলে বাবার সাথে খেলার স্বপ্নও বোধহয় পূরণ হতে পারে তাঁর।