কত শত খেলোয়াড় প্রতি বছর আসে আর যায়। ক’জনেরই বা সৌভাগ্য হয় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার। তার উপর যদি অধিনায়ক হিসেবে দেশের জন্য বিশ্ব সেরার তকমা অর্জন করা যায়, তবে তো খেলোয়াড় জীবনের ষোল আনাই স্বার্থক হয়ে যায়। এমনই কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা কম বয়সেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে এনে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নের তকমা।
মহেন্দ্র সিং ধোনী-২৬ বছর ৭৯ দিন
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই সবচেয়ে কম বয়সে বিজয়ীর তকমা গায়ে জড়ান ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। জোহানেসবার্গে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁরা ৫ রানের জয় পায়। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় ধোনি যুগের আবির্ভাব। পরবর্তীতে অবশ্য ধোনির হাত দিয়েই আইসিসি ইভেন্টের আরো দুইটি ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সৌভাগ্য হয়। ২৬ বছর ৭৯ দিন বয়সে করা ধোনির এই রেকর্ড আজো কেউ ভাঙতে পারেননি।
ড্যারেন সামি-২৮ বছর ২৯২ দিন
কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালের মঞ্চে ড্যারেন সামির নেতৃত্বে মাঠে নামে ক্যারিবিয়ানরা। জটিল পিচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ বেগ পেতে হয় মার্লোন স্যামুয়েলসদের। তবে বোলিংয়ে এসে লঙ্কান ব্যাটারদের চেপে ধরেন ড্যারেন সামি-সুনীল নারাইনরা। যার ফলে ৩৬ রানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সামি বাহিনী। এর মাধ্যমেই ড্যারেন সামি বনে যান দ্বিতীয় কনিষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়ক।
লাসিথ মালিঙ্গা-৩০ বছর ২২১ দিন
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার নেতৃত্বে আসেন লাসিথ মালিঙ্গা। ফাইনালের মঞ্চে তাঁদের প্রতিপক্ষ মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। ২০০৭ সালের সেই সুখস্মৃতির পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সুযোগ থাকলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তা করতে ব্যর্থ হয় ভারত। ফলে ৩০ বছর ২২১ দিন বয়সেই তৃতীয় কনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের শিরোপা অর্জন করেন মালিঙ্গা।
ইউনুস খান-৩১ বছর ২০৪ দিন
২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়কত্বের ভার ইউনুস খানের উপর অর্পন করা হয়েছিল। ঠিক আগের আসরেই ফাইনাল খেলা দলটি বেশ উজ্জীবিত ছিল। লর্ডসে কুমার সাঙ্গাকারার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখী হয় তাঁরা। যদিও দলপতি সাঙ্গাকারা ৫২ বলে ৬৪ রান করে দলকে পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। পাকিস্তানের বিধ্বংসী অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির ৪০ বলে ৫৪ রানের সেই ইনিংসটির কল্যাণে বিজয় আসে পাকিস্তান শিবিরে। তখন ইউনুস খানের বয়স ছিল ৩১ বছর ২০৪ দিন।
জশ বাটলার-৩২ বছর ৬৬ দিন
২০২২ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মুখোমুখী হয় ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে ভারতের মত শক্তিশালী দলকে হারিয়ে তাঁরা ফাইনালের মঞ্চে ওঠে। ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংলিশ বোলাররা পাকিস্তানকে ১৩৭ রানেই থামিয়ে দেয়। থ্রি লায়ন্সরা সেই লক্ষ্য এক ওভার আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। সেই সাথে ৩২ বছর ৬৬ দিন বয়সে জশ বাটলার বনে যান টুর্নামেন্টের পঞ্চম কনিষ্ঠ বিজয়ী অধিনায়ক।