সদ্যই ওয়ানডে অভিষেকে ক্রুনাল পান্ডিয়ার খুনে ফিফটি, কদিন আগে টি-টোয়েন্টি অভিষেক ম্যাচে ইশান কিষান, অভিষেক ইনিংসে সূর্যকুমার যাদবের ঝড়ো ফিফটি।
বেঞ্চ স্ট্রেংথ কাকে বলে?
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের হয়ে বিভিন্ন ফরম্যাটে অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের নামগুলি দেখুন…
- শুভমান গিল
- ওয়াশিংটন সুন্দর
- মোহাম্মদ সিরাজ
- থাঙ্গারাসু নটরাজন
- অক্ষর প্যাটেল
- ক্রুনাল পান্ডিয়া
- ঈশান কিষাণ
- সুরিয়া কুমার যাদব
- নবদ্বীপ সাইনি
- প্রসিধ কৃষ্ণা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবেই তাঁরা কেমন খেলেছেন, ক্রিকেট অনুসরণ করে থাকলে জানার কথা। এটা স্রেফ গত চার মাসের মধ্যে। আরেকটু পেছনে গেলে আরও নাম আসবে। পাশাপাশি, রিষভ পান্ত, শ্রেয়াস আইয়ার, পৃথ্বী শ, খলিল আহমেদ, কুলদ্বীপ যাদবের মতো তরুণরা তো আছেনই।
বিভিন্ন সময়ে মূল ক্রিকেটারদের চোট-বিশ্রামে যারা খেলেছেন বা খেলছেন, তাদের মধ্যে শার্দুল ঠাকুর, দিপক চাহার, শিবম দুবে, রাহুল চাহার, সাঞ্জু স্যামসনরা আছেন।
জাতীয় দলের আশেপাশেই আছেন, যে কোনো সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চলে আসার মতো বা টুকটাক ঘষামাজা করলেই তৈরি হয়ে যাবেন, এরকম মিলিয়ে আছেন। নিতিশ রানা, দেবদূত পাদ্দিক্কাল, ইশান পোরেল, বরুণ চক্রবর্তী, রিকি ভুই, রবিকুমার সামার্থ, শ্রেয়াস গোপাল, প্রিয়ম গার্গ, রবি বিষ্ণই, কমলেশ নাগরকোটি, কার্তিক ত্যাগী, রাহুল তেওয়াতিয়া, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিবম মাভি, অভিমন্যু ইশ্বরন, আবেশ খান।
মোটামুটি যাদের কথা মাথায় এলো। আরেকটু ভাবলে আরও পাওয়া যেতে পারে।
তাদের পাইপলাইন কেমন? রঞ্জি ট্রফি, সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি, দেওধর ট্রফি, আইপিএল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ভারত ‘এ’ দল – এরকম নানা জায়গায় পুড়ে খাঁটি সোনা হয়ে, নানা মোহনায় ঘুরে প্রবল প্রবাহ হয়ে তারা জাতীয় দলে আসে।
আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট – আমাদের ‘এ’ দল (হাহাহহাহাহহা), আমাদের সিস্টেম (হোহোহহোহহোহহো) – এসব নিয়ে প্রস্তর যুগ থেকে লেখা-বলা হচ্ছে – চিত্র খুব একটা বদলায়নি।
ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াদের বাদ দিয়ে এই ছবির প্রসঙ্গে আসি। ভদ্রলোকের নাম ফিন অ্যালেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন। বয়স ২১।
এবার নিউ জিল্যান্ডে সুপার স্ম্যাশ টি-টোয়েন্টিতে প্রায় ৫৭ গড় ও ১৯৩.৯৩ স্ট্রাইক রেটে ৫১২ রান করেছেন অ্যালেন। ওয়ানডে টুর্নামেন্ট ফোর্ড ট্রফির এক ম্যাচে গত মাসে করেছেন ১১ ছক্কায় ৫৯ বলে ১২৮! তার পর অস্ট্রেলিয়ার জশ ফিলিপির বদলি হিসেবে কদিন আগে অ্যালেনকে দলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
এত কথা বলছি কারণ, নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশ, যেখানে জনসংখ্যাই এত কম, ক্রিকেট প্রধান খেলা নয়, ক্রিকেটারও কম, সেখানে তারা গত কয়েক বছর ধরেই সীমিত ওভারে অনেককে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলাচ্ছে। খেলাতে পারছে। অনেক ক্রিকেটার উঠে আসছে। গ্লেন ফিলিপস, টিম সেইফার্ট, ডেভন কনওয়ে, মার্ক চাপম্যানদের প্রস্তুত করে ফেলেছে। সেই ধারায় এবার অ্যালেন এলেন।
আমরা আঙুল চুষতে চুষতে বড় বড় চোখে ওদের দেখি।
– ফেসবুক থেকে