ফাফের ও বিপিএলের তৃতীয়

কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮৩ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেছিলেন। তবে কুমিল্লার দর্শকদের মনে নিশ্চিয়ই একটা আক্ষেপ ছিল। বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিটা দেখা হলো না যে। তবে সেই আক্ষেপ ফাফ ডু প্লেসস মেটালে মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে রীতমত উড়ে গেল খুলনার বোলিং লাইন আপ।

কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮৩ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেছিলেন। তবে কুমিল্লার দর্শকদের মনে নিশ্চিয়ই একটা আক্ষেপ ছিল। বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিটা দেখা হলো না যে। তবে সেই আক্ষেপ ফাফ ডু প্লেসস মেটালে মিরপুরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। তাঁর ব্যাটিং ঝড়ে রীতমত উড়ে গেল খুলনার বোলিং লাইন আপ।

শেষ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং লাইন আপের বড় ভরসা ছিলেন ফাফ ডু প্লেসিস। ব্যাট হাতে দারুণ একটা আসর কাটিয়েছেন। ফলে আশা করা হচ্ছিল চেন্নাই এবারো চড়া দামে এই ব্যাটসম্যানকে কেনার চেষ্টা চালাবে। তবে এবার আর এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে দলে ভিড়ায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু নিজেদের দলে নিয়ে নিয়েছে এই ব্যাটসম্যানকে।

তবে নিলামের খানিকক্ষণ পরেই মিরপুরে ফাফের ব্যাটিং দেখে নিশ্চয়ই কপালে হাত দিয়েছে চেন্নাই। খুলনার বিপক্ষে কুমিল্লার আজ নির্ভার ম্যাচ। দারুণ ফর্মে থাকা ওপেনার লিটন কুমার দাসকে বিশ্রাম দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

তবে খুলনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটি। আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তামিম, রিয়াদ, মাশরাফিদের নিয়ে গড়া মিনিস্টার ঢাকার জন্য। কেননা ঢাকাকে কোয়ালিফায়ার খেলতে হলে হারতে হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। ওদিকে খুলনা জিতে গেলে ঢাকা বাদ হয়ে খুলনাই চলে যাবে প্লে অফে।

তবে নিজেদের নির্ভার ম্যাচেও ছেড়ে কথা বলেননি ফাফ ডু প্লেসিস। মিরপুরে রীতিমত ঝড় উঠিয়ে ফেললেন। মাহমুদুল হাসান জয় ও মঈন আলীর উইকেট পড়ে গেলে খানিকটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল কুমিল্লা। তবে কুমিল্লাকে আবার চেনা রূপে ফিরিয়ে আনেন ফাফ ডু প্লেসিস।

মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে গড়েন ৫০ রানের জুটি। ২৮ বলে ৫০ রানের সেই জুটির অবশ্য ৪৩ রানই এসেছে ফাফের ব্যাট থেকে। এর আগে মাহমুদুল হাসান জয়ের সাথেও গড়েছিলেন ৩৫ বলে ৪৯ রানের জুটি।

নাভিন উল হকের বলে আউট হবার আগে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১০১ রানের বিশাল এই ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৫৪ বলে। ১২ চার ও ৩ ছয় দিয়ে সাজিয়েছিলেন বিধ্বংসী এই ইনিংস। ব্যাটিং করেছেন ১৮৭.০৩ স্ট্রাইকরেটে।

ওদিকে  এবারের বিপিএলে এটি ছিল তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে একই ম্যাচে লেন্ডল সিমন্স ও তামিম ইকবাল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। এছাড়া বিপিএলের ইতিহাসে এটি ছিল ২৪ তম সেঞ্চুরি।

সবিমিলিয়ে আইপিএল থেকে বিপিএল সবজায়গাতেই নিজের ব্যাটিং ক্যারিশামটা দেখাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। গতবছরের সেই ফর্ম যে এখনো আছে সেটি প্রমান করলেন কুমিল্লার হয়ে। ৩৭ বছর বয়সে এসেও ব্যাটের ধার একটুও কমেনি ফাফের। ফলে বেঙ্গালুরুর হয়েও হয়তো দারুণ একটা আসর কাটাবেন এই ব্যাটসম্যান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...