সাকিব ম্যাজিকে বরিশালের টানা তিন

সাকিব-মুজিবের স্পিন ভেলকিতে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৪ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিলো ফরচুন বরিশাল। ছয় ম্যাচে চার জয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল সাকিব আবারও হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে উইল জ্যাকসরে ফেরান মুজিব উর রহমান। উইকেট মেইডেন দেন প্রথম ওভারেই। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেন ও শামিম পাটোয়ারীর ৬০ বলে ৭০ রানের জুটিতে তখন ম্যাচে আধিপত্য তখন চট্রগ্রামের।

এরপরই মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্রগ্রাম। আফিফ ৩২ বলে ৩৯ রানে সাকিবের বলে ও শামীম ৩০ বলে ২৯ রানে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান রানার কাছে। সাকিবের শিকার হয়ে নাইম ইসলাম গোল্ডেন ডাক ও মুজিবের এক ওভারে টানা দুই বলে বেনি হাওয়েল ও আকবর আলি ফিরেন বোল্ড হয়ে।

৮১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে চট্রগ্রাম। সাকিব-মুজিবদের স্পিন বিষে নীল চট্রগ্রামের ব্যাটিং শিবির। শেষদিকে মিরাজের ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে জয়ের আশা জাগলেও ব্রাভোর শিকার হয়ে মিরাজ আউট হলে চট্টগ্রামের সব আশা শেষ হয়ে যায়। শেষদিকে শরিফুল-মৃত্যুঞ্জয়রা চেষ্টা করলেও ২ বল বাকি থাকতে ১৩৫ রানে গুড়িয়ে গেলে ১৪ রানের জয় পায় বরিশাল।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় বরিশাল। এরপর ক্রিস গেইল ও নাজমুল শান্তর ব্যাটে দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ রান যোগ করতে ১৯ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রানে ফিরেন গেইল। সাকিব আল হাসানের সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩১ রান যোগ করেন শান্ত।

একপ্রান্তে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন সাকিব। দলীয় ৭৫ রানে শান্ত ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব ও তৌহিদ হৃদয়। একপ্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিয়ে ৩১ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পান এই অলরাউন্ডার।

এরপর হটাৎ বরিশালের ছন্দপতন দলীয় ১৩০ রানে হৃদয় ১৭ বলে ২২ রানে ফিরলে সাকিবও ফিরেন ৩১ বলে ৫০ রানে। এরপর টানা উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানে ৩ উইকেট থেকে ৫ বল বাকি থাকতে ১৪৯ রানেই গুড়িয়ে যায় বরিশালের ইনিংস! শেষ ১৭ রানে ৭ উইকেট হারায় বরিশাল! চট্রগ্রামের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী একাই শিকার করেন ৪ উইকেট।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফরচুন বরিশাল – ১৪৯/১০ (১৯.৫ ওভার); সাকিব ৫০(৩১), শান্ত ২৮(২৯), গেইল ২৫(১৯); মৃত্যুঞ্জয় ২-০-১২-৪, শরিফুল ২.১-০-৯-২।

চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৩৫/১০ (১৯.৪ ওভার); আফিফ ৩৯(৩২), শামিম ২৯(৩০), মিরাজ ২৬(১৩)ওয়ালটন ১৬(১৮); মুজিব ৪-১-৯-৩, সাকিব ৪-০-২৩-৩।

ফলাফল: ফরচুন বরিশাল ১৪ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: সাকিব আল হাসান (বরিশাল)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link