বিদায়ী বছরে বিদায় বলেছেন যারা

দেখতে দেখতে কেটেছে দিন; ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এখন সময় এসেছে ক্যালেন্ডার বদলানোর। আর এই বিদায়ী বছরে ফুটবল জগৎ থেকেও বিদায় নিয়েছেন এক ঝাঁক নক্ষত্র। নিজেদের সমৃদ্ধ এক ক্যারিয়ার শেষে তাঁরা তুলে রেখেছেন বুটজোড়া। আর কখনোই হয়তো পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করবেন না ভক্ত সমর্থকদের।

দেখতে দেখতে কেটেছে দিন; ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এখন সময় এসেছে ক্যালেন্ডার বদলানোর। আর এই বিদায়ী বছরে ফুটবল জগৎ থেকেও বিদায় নিয়েছেন এক ঝাঁক নক্ষত্র। নিজেদের সমৃদ্ধ এক ক্যারিয়ার শেষে তাঁরা তুলে রেখেছেন বুটজোড়া। আর কখনোই হয়তো পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করবেন না ভক্ত সমর্থকদের।

২০২২ সালে অবসর গ্রহণ করা এমন কয়েকজন ফুটবলারকে নিয়ে আজকের আয়োজন।

  • জেরার্ড পিকে (স্পেন)

স্পেন আর বার্সেলোনার সোনালী সময়ের এক অবিচ্ছেদ্য নাম জেরার্ড পিকে। জাতীয় দল এবং ক্লাব ক্যারিয়ার উভয় জায়গাতেই সফলতম এই ডিফেন্ডার সদ্য বিদায়ী বছরে নিজেও বিদায় বলেছিলেন। বার্সেলোনার আর্থিক সংকটের মুহূর্তে সাহায্য করতে নিজের চুক্তি বাতিল করেছেন তিনি, সেই সাথে তুলে রেখেছেন বুটজোড়াও।

স্পেনের হয়ে ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আর ২০১২ সালে ইউরো জিতেছিলেন পিকে। আর বার্সার হয়ে সম্ভাব্য সব ট্রফিই আছে তাঁর অর্জনের খাতায়। ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় এক যুগ কাতালান সমর্থকদের আস্থার নাম হয়েই ছিলেন তিনি। তাই তো অবসরের পরেও মি. প্রেসিডেন্টকে মনে রাখবে ভক্ত-সমর্থকেরা।

  • কার্লোস তেভেজ (আর্জেন্টিনা)

আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের এক আক্ষেপের নাম কার্লোস তেভেজ। গতি আর দক্ষতায় একটা প্রজন্মের কাছে নতুন ম্যারাডোনা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু সামর্থ্যের সবটুকু মাঠে দেখাতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। সব শেষ ২০২২ সালে ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা ঘোষণা দিয়েছেন অবসরের।

স্বদেশী ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের হয়ে খেলার পর ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাসের মত বড় বড় ক্লাবে খেলা তেভেজের ক্লাব ক্যারিয়ার শিরোপায় মোড়া। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ শিরোপা জেতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনেক পুরষ্কার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন এই আর্জেন্টাইন।

  • গঞ্জালো হিগুয়েন (আর্জেন্টিনা)

কার্লোস তেভেজের মত ২০২২ সালে গঞ্জালো হিগুয়েনও বেছে নিয়েছিলেন অবসরের পথ। তবে তেভেজের মত ভক্তদের ভালবাসা পাওয়া হয়নি তাঁর; ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল কিংবা কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই স্ট্রাইকারের ব্যর্থতা এখনো ভুলতে পারেনি কেউই।

রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, নাপোলি, চেলসির মত দলের জার্সি গায়ে জড়ানো গঞ্জালো হিগুয়েন গোল্ডেন বুট, প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার সহ একাধিক সম্মাননা পেয়েছিলেন ক্লাব ক্যারিয়ারে।

  • ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি (ফ্রান্স)

বায়ার্ন মিউনিখ সমর্থকদের কাছে এক অতিপরিচিত নাম ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি। এই ফরাসিকে বাভারিয়ানদের হয়ে খেলা সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। ছোটখাটো গড়নের এই উইঙ্গার কথা ভাবলেই চোখে ভেসে উঠবে মাঠের ডান দিক ধরে দৌড়ে মার্কারকে পিছনে ফেলার দৃশ্য।

প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার তাঁকে থামাতে না পারলেও বয়স ঠিকই থামিয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে ফুটবল মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছেন এই জাদুকর। তবে বিদায়ের আগে ঠিকই নিজের জাদুতে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে।

  • জ্যাক উইলশেয়ার (ইংল্যান্ড)

জ্যাক উইলশেয়ারকে একটাসময় ভাবা হতো ফুটবলের পরবর্তী স্টার। কিন্তু নেইমার জুনিয়রের মতই অনাকাঙ্ক্ষিত ইনজুরির ছোবল থামিয়ে দিয়েছে এই ইংলিশম্যানকে। তবে আর্সেনালের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে কার্পণ্য করেননি তিনি।

যুব দল থেকে শুরু করে প্রিমিয়ার লিগ সর্বত্রই গানারদের হয়ে উজ্জ্বল ছিলেন এই মিডফিল্ডার। পরিসংখ্যানে আসলে উইলশেয়ারের ফুটবলীয় দক্ষতা ফুটে ওঠেনি। দুর্দান্ত প্রতিভাবান এই ফুটবলার তাই অতৃপ্তি নিয়েই শেষ করেছেন ফুটবল ক্যারিয়ার।

এরা ছাড়াও বেলজিয়ামের মৌসা ডেম্বেলে, আর্জেন্টিনার ম্যাক্সি রদ্রিগেজ, সার্বিয়ান ডিফেন্ডার আলেক্সান্দার কোলারভ এর মত কয়েকজন ফুটবলার অবসর নিয়েছেন গত বছর। তবে এদের সবাই-ই সৃষ্টি করেছেন ম্যাজিক মোমেন্ট। আর এসব মুহূর্ত যতবারই সামনে আসবে ততবারই তাঁদের স্মরণ করবে ফুটবলপ্রেমীরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...