ভারতের আদি ও অকৃত্রিম স্পিনিং ট্র্যাক কানপুর। স্লো-টার্নার, উইকেটের সাথে চাইলে মিরপুর শেরে বাংলার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এমন উইকেটে শুক্রবার তিন নয়, বরং দুই পেসার নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। নাহিদ রানার সাথে থাকবেন হাসান মাহমুদ। স্পিনার থাকবেন তিনজন!
বাড়তি একজন স্পিনার খেলানোর জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে তাসকিন আহমেদকে। বাড়তি স্পিনারটি হবেন যথারীতি তাইজুল ইসলাম। সাদা পোশাকে এই সময়ে বাংলাদেশের অবধারিত সেরা ঘূর্ণি জাদুকর তিনি।
তাঁর সাথে নাঈম হাসানও চলে আসতে পারেন একাদশে। কারণ, ঝুঁকি আছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ের সময় আঙুলে ব্যাথা পান তিনি। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে পর্যবেক্ষণের পর সাকিবের খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে ভারতের পেসার জসপ্রিত বুমরাহর বলে আঙুলে চোট পান সাকিব। এরপর মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসাও নেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে ব্যাটিং বা বোলিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি সাকিব। তাই দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবের খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৮ ওভারে ৫০ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে ৭৯ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন তিনি। চেন্নাই টেস্টের সপ্তাহ খানেক আগে কাউন্টি ক্রিকেটে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। তবে, সাকিব থাকুন না নাই থাকুন – কন্ডিশন আর উইকে বিবেচনায় কানপুরে তিন স্পিনার রাখাটাই যৌক্তিক।
প্রথম টেস্ট ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়েও একটা পরিবর্তন আসতে পারে। মুমিনল হক সৌরভকে বসিয়ে অভিষেক হতে পারে জাকের আলীর। গত দুই টেস্ট ধরে চার নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে নামা মুমিনুলের কোনো হাফ-সেঞ্চুরি নেই। ব্যাটে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও প্রবল। সব মিলিয়ে তাই তাঁকে একাদশ থেকে সরানোর মঞ্চটা প্রস্তুত হয়েই আছে।