স্বপ্নে বিভোর এক তরুণ। নিজেকে ঝালাই করে নেওয়ার জন্যে বেছে নিয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটকে। আবার জাতীয় দল থেকে ফর্মহীনতা ও নানান কারণে ছিটকে যাওয়া খেলোয়াড়টাও নিজেকে আবার প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে বেছে নেয় সে ঘরোয়া ক্রিকেটকেই। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নানানরকম আয়োজন হয় প্রতি মৌসুমেই। এই যেমন আমাদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ।
তাছাড়া ভিন্ন ফরম্যাটের ভিন্নধর্মী সব টুর্নামেন্টও আয়োজিত হয়। নানান রকম রেকর্ডও হয় এসব টুর্নামেন্টে। কতশত রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকে। আজকের আয়োজনে তাই থাকছে বিশ্বের নানা প্রান্তে হওয়া ঘরোয়া টুর্নামেন্ট গুলোর মধ্যে এক টুর্নামেন্টে সর্বাধিক রান করা ব্যাটাররা। আজকের তালিকায় অবশ্য ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্টই প্রাধান্য পাচ্ছে।
- কার্ল হুপার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)- কেন্ট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের হয়ে এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার পার করা সাবেক অধিনায়ক কার্ল হুপার ১৯৯৩ সালে খেলেছিলেন ইংল্যান্ডে ঘরোয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে।
সানডে লিগ খ্যাত ওয়ানডে ফরম্যাটে সে টুর্নামেন্টে তিনি কাউন্টির দল কেন্টের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। ডান-হাতি এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার কেন্টের হয়ে ১৬ ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৮৫৪ রান। এই রানের সুবাদে তিনি থাকছেন আজকের তালিকার পঞ্চম স্থানে।
- নাঈম ইসলাম (বাংলাদেশ)- লিজেন্ড অব রুপগঞ্জ
জাতীয় দলে অবহেলিত নাঈম ইসলাম ঘরোয়া লিগের নিয়মিত পারফরমারদের একজন। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ২০২২ আসরে তিনি যে সে প্রমাণটাই রাখলেন আবার। মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি।
৮৫৯ রান করে শুধু টুর্নামেন্টের শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের একজন হননি তিনি। জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকার পঞ্চম স্থানে। লিজেন্ড অব রুপগঞ্জের হয়ে তাঁর ব্যাট হেসেছে নিয়ম করে। তাঁর ব্যাটের উপর ভর করেই রানার্সআপ হয়েছে দলটি।
- জ্যাক রুডলফ (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ইয়োর্কশায়ার
প্রায় এক যুগ আগে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘প্রো-ফরটি’ নামক এক ওয়ানডে ফরম্যাটের টুর্নামেন্ট। সেখানে ইয়োর্কশায়ারের হয়ে ১৩টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার জ্যাক রুডলফ।
প্রোটিয়া এই টপ অর্ডার ব্যাটার জাতীয় দলে খুব লম্বা সময় পার করতে পারেননি। তবে সে যাই হোক সেবারের আসরে রুডলফ হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। করেছিলেন ৮৬১ রান।
- জিমি কুক (দক্ষিণ আফ্রিকা)- সমারসেট
স্বল্প দৈর্ঘ্যের এক জাতীয় দলের ক্যারিয়ার জিমি কুকের। জাতীয় দলের হয়ে সর্বসাকুল্যে সাত ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। তবে তাতে থেমে থাকেনি জিমি কুকের ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
তিনি ঠিকই চালিয়ে গেছেন লিস্ট এ ক্রিকেট। তিনি সুপার সানডে টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সমারসেটকে। ১৯৯০ এ খেলা সে আসরে তিনি করেছিলেন ৯০২ রান। সময় নিয়েছিলেন মাত্র ১৬ ম্যাচ।
- টম মুডি (অস্ট্রেলিয়া)- উস্টারশায়ার
ওয়ানডে ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় হাজারের বেশি রান করেছেন টম মুডি। খেলোয়াড় মুডি অপেক্ষা কোচ মুডি বেশ জনপ্রিয়। তবুও খেলোয়াড়ি জীবনের যে তিনি একেবারেই সাদামাটা একজন খেলোয়াড় ছিলেন তেমনটাও বলার সুযোগ নেই।
কেননা ১৯৯১ সালে খেলা সানডে লিগে টম মুডি হয়েছিলেন সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। তিনি সে টুর্নামেন্টে খেলেছিলেন ১৫ ম্যাচ। সে ১৫ ম্যাচে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৯১৭ রান।
- এনামুল হক বিজয় (বাংলাদেশ)- প্রাইম ব্যাংক
নিজেকে যেন নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এনামুল হক বিজয়। বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যাওয়া এই ওপেনার নিজের সামর্থ্য ও সক্ষমতার প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিল ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগকে।
সেখানে রানের ফুলঝুরি ফুটিয়ে তিনি বনে গেছেন ইতিহাস সেরা। ‘লিস্ট এ’ ক্যারিয়ারে এক টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রানের মালিক এখন তিনি। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১৩৮ রান। গড়টা ছিল দূর্দান্ত ৮১.২৮।