টেনিস-বিশ্বে এখনো পাদপ্রদীপের আলোটা ছিনিয়ে নিতে না পারলেও টেলর টাউন্সেন্ড একেবারে অখ্যাত কেউও নন। তবুও গায়ের রঙের কারণে প্রায়ই তাঁকে সেরেনা কিংবা ভেনাস উইলিয়ামস বলে ভুল করে বসেন অনেকেই!
সম্প্রতি টেনিস ইউনাইটেডকে নিজের প্রতি বর্ণবাদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই কৃষ্ণাঙ্গ টেনিস খেলোয়াড়। তিনি বলেন, ‘মানুষজন কোন কালো নারী টেনিস খেলোয়াড়কে দেখলেই ধরে নেয় ভেনাস, সেরেনা কিংবা স্লোয়ান (স্টেফেন্স) কে দেখছে। জীবনের কোনো না কোনো সময়ে লোকে আমাকে সেরেনা ভেনাস কিংবা স্লোয়ান মনে করে ভুল করেছে।’
তালিকাটা এখানেই শেষ নয়। টেলর জানান, তাকে টিনেজ টেনিস সেনসেশন কোকু গাফ বলেও লোকে ভুল করেছে বহুবার! নারী টেনিস র্যাংকিংয়ের ৮৪তম এই খেলোয়াড়ের ভাষায়, ‘আমাকে কোকু গাফ বলেও মনে করেছে কিছু মানুষ আর আমি তাদের সঙ্গে ঝগড়াও করেছি অনেক। আমি কোকু গাফ নই, কিন্তু (তাদের কাছে) আমরা সবাই একই রকম দেখতে, একই রকম ভাবে বানানো হয়েছে আমাদেরকে।’
জর্জ ফ্লয়েড নামক কৃষ্ণাঙ্গ বেসামরিক যুবকের পুলিশের হাতে প্রাণ হারানোর পর থেকেই মূলত ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগানে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। টেলর কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি একচোখা আচরণ তুলে ধরে বলেন, ‘আপনি যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবেন কেউ আপনাকে আটকাবে না। কিন্তু আমি যদি হাঁটি তাহলে কেউ একজন এসে আমার আর আমার কোচের ব্যাগটায় তল্লাশি চালাবে, পরিচয়পত্র দেখবে শুধুমাত্র আমরা এখানকার নাগরিক কিনা তা দেখার জন্যে!’
বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে এ পরিস্থিতি পরিবর্তিত হবে, আশাবাদ তার। টেলর বলেন, ‘এটাই আমাদের বাস্তবতা। বছরের পর বছর, দিনের পর দিন; এমনটাই হয়ে আসছে। আশা করছি এটা আমাদের জন্যে একটা নিরাপদ জায়গা তৈরি করবে আর যারা এ নিয়ে কথা বলতে চায় তাদের মাঝে একটা সচেতনতা তৈরি করবে।’