ডিআরএস কিংবা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। আম্পায়ারদের পিঠ বাঁচানোর কৌশল। অধিনায়কদের ম্যাচে টিকে থাকার কৌশল। কিন্তু, একটু এদিক সেদিক হলেই এই রিভিউ-ই হতে পারে কোনো দলকে ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলার মাধ্যম।
পাকিস্তানের শান মাসুদ সেই হিসেবে দু:খ করতেই পারেন। কারণ, পরপর দুই বলে তিনি রিভিউ নিয়েছেন। দু’টোতেই সিদ্ধান্ত গিয়েছে বাংলাদেশের পক্ষে। দু’বারই ব্যাটার ছিলেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। আর এখানেই শেষ নয়, আম্পায়ার্স কলে রিভিউ বাঁচিয়েও রাখতে পারেনি পাকিস্তান।
মাঠে পারফরম্যান্স নেই। ভাগ্যের সহায়তাও নেই। সব মিলিয়ে এই এখন পাকিস্তান দলের নিয়তি যেন।
ঘটনাটা রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনের। জুটি ভাগে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক সৌরভের। মুশফিক উইকেটে নেমেই ছিলেন মারমুখী। দ্রুত রান বের করে নিতে তিনি চেষ্টার কোনো কমতি রাখছিলেন না।
মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে পরপর দুই বলে দু’টো দারুণ ডেলিভারি করেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। বলের মেরিট বিবেচনা করলে দু’টোকেই পাশ মার্ক দিতে হয়। দুটোই প্লাম্ব। এলবিডব্লিউ হতে পারে নিশ্চিতভাবেই। পাকিস্তানের জোড়ালো আবেদন।
কিন্তু, আম্পায়ার রিচার্চ ক্যাটেলবরো অবিচল। দুই বারই তিনি বললেন, বল ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু, শান মাসুদ কিংবা আবরার ক্যাটেলবরোর কথা শুনলেন না। তাঁরা শুনলেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের কথা।
কিন্তু, বিধিবাম। শেষ রক্ষা হল না। দুবারই আল্ট্রা এজে দেখা গেল বল মুশফিকের প্যাডে আঘাত হানার আগে ব্যাটে আলতো করে চুমু খেয়ে গেছে। আর সেই চুমুই পাকিস্তানের কফিনে পেড়েক হয়ে আঘাত হেনেছে, দু-দুবার করে। দু-দুবার করে রিভিউ নষ্ট করেছে পাকিস্তান।