ওয়াসি সিদ্দিকী আর শেখ ইমতিয়াজ শিহাব— অচেনা দুই তরুণ। একজনের বয়স ১৭, অন্যজনের ১৯। অর্থাৎ তাদের বয়সটাই এখন পর্যন্ত ‘টিনএজার’ শব্দের সাথে জড়িয়ে আছে। তবে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই দুই টিনএজারই আবার বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের সঙ্গী!
না। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে হঠাৎ কোনো চমক আসেনি। জাতীয় দলে না থেকেও এ দুই ক্রিকেটার থাকছেন নেট অনুশীলনে। সাকিব, শান্তদের প্রস্তুত করতে নেটে ব্যস্ত সময়ই কাটাতে হচ্ছে তাদের।
মূলত ওয়াসি আর সিদ্দিকী, দুজনই লেগস্পিনার। অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলা এ দুই লেগিকে প্রথম থেকেই দলের সঙ্গে রাখতে চেয়েছিলেন কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে। ভিসা জটিলতার কারণে দু’জনকে প্রথম থেকে না পেলেও মুম্বাইয়ে দলের সঙ্গী হয়েছে ওয়াসি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস সেশনও করেছেন তিনি।
কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহের লেগস্পিনপ্রীতি অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালে যেবার বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসলেন, সেবারই প্রথম থেকে লেগস্পিনারের খোঁজে ছিলেন হাতুরুসিংহে। সেই খোঁজে প্রথমে তাঁর নজরে পড়ে জুবায়ের হোসেন লিখন। আর তাতে লিখনেরও ভাগ্য বদলে যায়।
ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার আগেই তিনি পা রাখেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে লিখন এরপর হারিয়ে গেছেন দ্রুতই। নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে এসেও রিস্ট স্পিনার খোঁজে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে গিয়েছেন হাতুরুসিংহে। তবে সে যাত্রায় বিফল হয়ে লেগি বাদেই ঘোষণা করতে হয়ে বিশ্বকাপ দল।
তবে, বাংলাদেশ ছাড়া ভারত বিশ্বকাপে খেলা বাকি ৯ দলেরই লেগস্পিনার আছে। তাই তাদের প্রতিহত করাটাও একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। সেই ভাবনায় নেট অনুশীলনে লেগস্পিনার নিতে চেয়েছিলেন হাতুরু। স্কুল ক্রিকেট থেকে উঠে আসা বিসিবি অনূর্ধ্ব-১৭ দলের লেগস্পিনার রংপুর বিভাগের শিহাবকে পাওয়া গিয়েছে প্রথম থেকেই।
তবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের লেগস্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকীকে পেতে দেরি হয়েছে ভিসা জটিলতার জন্য। অবশ্য কিছুটা বিলম্ব হলেও তাঁকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে প্র্যাকটিস সেশনে। আর তাতেই লেগস্পিনারদের প্রতিহত করা কৌশল রপ্ত করে নিতে পারছেন লিটন, শান্তরা।
প্রসঙ্গত, টানা তিন হারের পর জয়ের ধারায় ফিরতে আগামী ২৪ অক্টোবর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আগের বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারানো সুখস্মৃতি নিয়েই অবশ্য এবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ।