টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহারণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে মূল আকর্ষণ তো শুরু হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলা যখন মাঠে গড়াবে। আগামী ২৩ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। সে ম্যাচ নিয়ে এখন থেকেই চলছে বিস্তর আলোচনা। আর সেই আলোচনায় এবার যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার আকিব জাভেদ।
পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী এ বোলার অবশ্য এ ম্যাচে ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন। তবে ভারতের এই দলে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ অবশ্যই শক্তিশালী। তবে তারা কোনো ম্যাচে ব্যাটিং স্ট্রাগল করলে সেই ম্যাচ বোলাররা আদৌতে বের করতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার দিনে ভারতের বোলিং লাইনআপ তেমন কাজে আসবে না। বিশেষত, জাসপ্রিত বুমরাহর অনুপস্থিতি ভারতের বোলিং লাইনআপকে কিছুটা দুর্বল করে দিয়েছে। শাহিন শাহ, হারিস রউফদের মত পেসার তাদের দলে নেই। এখানেই পিছিয়ে থাকবে ভারত। তবে, ভারতের জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া। ও পুরো এক হাতে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিতে পারে।’
জাসপ্রিত বুমরাহর বদলে এরই মধ্যে দলে যুক্ত করা হয়েছে মোহাম্মদ শামিকে। তবে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকাপের পর একটিও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি তিনি। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামী ম্যাচেই যে একাদশে তাকে দেখা যাবে সেটিও নিশ্চিত নয়।
ওদিকে, বোলিং লাইনআপের দিক দিয়ে বেশ শক্তিশালী হলেও মিডল অর্ডারে পাকিস্তানের ব্যাটারদের অবস্থা বেশ নাজুক। শেষ কয়েক ম্যাচে, শাদাব, নওয়াজকে দিয়ে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করানোর চেষ্টায় পাকিস্তান সফল হলেও এখনও স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি তারা। তাই বাবর-রিজওয়ানের ব্যার্থতার দিনে বাকি ব্যাটাররা মিলে পাকিস্তানকে কতটুকু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সেটি নিয়ে শঙ্কা থাকছেই।
দুই প্রতিবেশী দেশের সবশেষ বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দুবাইয়ে হওয়া সেই ম্যাচে পাকিস্তান ১০ উইকেটে হারিয়ে দেয় ভারতকে। সে ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়াও খেলেছিলেন। বলার মতো সেই ম্যাচে তেমন কিছু করতে পারেননি তিনি। তবে সেই পান্ডিয়া পার্থক্য গড়ে দেন পরের বছরের এশিয়া কাপে। দুবাইয়ের সেই মাটিতেই পান্ডিয়ার নৈপুণ্যে এবার ম্যাচটি জিতে নেয় ভারত। তবে সুপার ফোরে ম্যাচ আবার পাকিস্তানের কাছে হারের সঙ্গী হয় ভারত।
ভারত-পাকিস্তান আবারও মুখোমুখি হচ্ছে সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই। এ বারের এ লড়াইয়ে তাদের আতিথেয়তা দিতে প্রস্তুত মেলবোর্ন। একই সাথে ঐতিহাসিক এ মহারণ দেখতে প্রস্তুত পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।