ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বিশ্বায়নে পুরো বিশ্ব যতটা এগিয়েছে বাংলাদেশ যেন হেঁটেছে ঠিক তার উল্টো পথে। মূলত, বাইরের দেশের লিগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সুযোগ হয় না বললেই চলে। অবশ্য ২০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশ থেকে সেভাবে কেউ নজরই কাড়তে পারেন না।
আইপিএলে এর আগে নিয়মিত সুযোগ পেতেন সাকিব আল হাসান। তবে ২০২৪ আইপিএল নিলামের আগেই তিনি নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সাকিবের পর ভারতের এ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কিছু চমক দেখিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২ কোটি রূপির ভিত্তিমূল্য এবারের নিলামে থাকছেন এ পেসার। এ ছাড়া ৭৫ লাখ ও ৫০ লাখ রূপিতে আইপিএলের নিলামে উঠবেন তাসকিন, শরিফুলও।
তবে শঙ্কাটা হচ্ছে, এই তিন ক্রিকেটার আদৌ কি আইপিএল চলাকালীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকবেন? বিসিবি বরাবরই এনওসি ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেয়। এবার নিশ্চয়ই তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়।
আইপিএল শুরু হবে আগামী বছরের ১৯ মার্চে। আর সে সময়েই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর এপ্রিল-মে মাসেই আবার জিম্বাবুয়ে সিরিজ। অর্থাৎ, ১৯ ডিসেম্বরের নিলামে তাসকিন, মুস্তাফিজরা দল পেলেও আসন্ন আইপিএলের পুরোটা ভাগ খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
একই ভাবে, আইপিএল চলাকালীন বাংলাদেশের একাধিক সিরিজও নিশ্চিতভাবেই তাসকিনদের ব্যাপারে আইপিএল দলগুলোর আগ্রহের ক্ষেত্রে নেতিবাচক একটা প্রভাব ফেলবে। কারণ সিংহভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিই চাইবে, একজন ক্রিকেটারকে পুরোটা সময়ের জন্য পেতে। অবশ্য বিসিবি ক্রিকেটারদের ওই সময়ে এনওসি দেওয়ার ব্যাপার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তেই পৌঁছাতে।
এ নিয়ে বিসিবির অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন,’আইপিএলের সাথে আমাদের সিরিজ চলমান থাকলে, তাদের খেলার সম্ভাবনা বেশ কম। তাছাড়া, আগামী জুনে আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। খেলোয়াড়রা যাতে আগাম ইনজুরিতে না পড়ে, সেই ব্যাপারগুলোও তো দেখতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সামনে সতর্কই থাকব।’
বিসিবর এই বক্তব্যতেই পরিস্কার, আসন্ন আইপিএলে বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটার সুযোগ পেলেও পুরো আসরের জন্য খেলার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। তবো আইপিএল চলাকালীন যেহেতু বাংলাদেশের সিরিজ রয়েছে, এটা অবগত হওয়ার পরেও কোনো দল তাসকিন, মুস্তাফিজদের নিতে চায় কিনা, সেটিই এখন দেখার বিষয়।