গার্নাচো গোল করলেই জিতে যায় ইউনাইটেড

আমি জিতলেই জিতে যায় মা, তেমনি আলেহান্দ্রো গার্নাচো গোল করলে জিতে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবশেষ সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি, সেদিন ৩-০ গোলে জিতেছিল তাঁর দল।

আমি জিতলেই জিতে যায় মা, তেমনি আলেহান্দ্রো গার্নাচো গোল করলে জিতে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবশেষ সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি, সেদিন ৩-০ গোলে জিতেছিল তাঁর দল। এরপর থেকে আর গোল করতে দেখা যায়নি তাঁকে, দলও জেতেনি লিগের কোন ম্যাচ। টানা তিন ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে রেড ডেভিলরা।

তবে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে জালের দেখা পেয়েছেন আর্জেন্টাইন তরুণ। ম্যান ইউনাইটেডের আকাশেও উঠেছে জয়ের সূর্য – পিছিয়ে পড়েও স্বস্তির হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে তাঁরা।

নির্বিষ প্রথমার্ধের সব মনোযোগ অবশ্য ছিল ডি লিটকে ঘিরে, মাথা ফাটিয়ে রক্তারক্তি কান্ড ঘটান এই ডাচম্যান। বিরতির ঠিক আগে শুশ্রূষার জন্য মাঠের বাইরে যান তিনি; আর এরই ফাঁকে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা, ইথান পিননক পারফেক্ট হেডারে এগিয়ে দেন দলকে। যদিও ডি লিটের উপস্থিতি চিত্রপট আদৌ বদলাতে পারতো কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে।

আগের তিন ম্যাচে আসেনি একটা গোলও, ব্রুনো ফার্নান্দেজরা তাই ঘুরে দাঁড়াবেন এমন সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ; অভূতপূর্ব কিছু ঘটতে হতো সেক্ষেত্রে। হয়েছেও তাই, চলতি মৌসুমে নিজের প্রথম অ্যাসিস্টের দেখা পেয়েছেন মার্কাস রাশফোর্ড – তাঁর ক্রস থেকেই দুর্ধর্ষ এক ভলিতে গোল করেন গার্নাচো।

এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে; মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দেয় তাঁরা। ৬২ মিনিটের সময় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, অধিনায়ক ব্রুনোর ফ্লিক সরাসরি এসে পড়ে রাসমাস হজল্যান্ডের পায়ে। রাশফোর্ডের মত তিনিও সাক্ষী হন নতুন কিছুর, চলতি আসরে নিজের প্রথম গোলের স্বাদ পান এই ডেনিশ তারকা।

এই জয়ের ফলে আরো একবার বেঁচে গেলো এরিক টেন হ্যাগের চাকরি। যদিও পয়েন্ট টেবিলের দিকে তাকানোর চেষ্টা করা উচিত না লাল শয়তানদের। কোন রকম সেরা দশের মধ্যে আছে তাঁরা, ধারাবাহিক ভাল পারফরম্যান্স ছাড়া এখান থেকে উত্থানের কোন উপায় আসলে নেই আর।

Share via
Copy link