পাল্লেকেলে টেস্টের চতুর্থ দিন পুরোটাই হতাশায় কেটেছে বাংলাদেশের বোলারদের। সারা দিন বল করেও শ্রীলঙ্কার কোন উইকেট তুলে নিতে পারেননি সফরকারী বোলাররা। বোলারদের ব্যর্থতার দিনে সারা দিন দাপট দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান দ্বিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। দুজনের ৩২২ রানের অনবদ্য জুটিতে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের থেকে আর মাত্র ২৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে দিমুথ করুনারত্নের ডাবল সেঞ্চুরি ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫১২ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। করুনারত্নে ২৩৪ ও ধনাঞ্জয়া ১৫৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। চতুর্থ দিন শেষ হয়ে গেলেও প্রথম ইনিংসই শেষ হচ্ছে না। সব মিলিয়ে ক্যান্ডিতে অন্যরকম এক পঞ্চম দিন অপেক্ষঅ করছে।
টেস্টে এর আগে চার বার দেড়শো ছুঁয়েও ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পাননি দ্বিমুথ করুনারত্নে। এক বার তো আউট হয়েছিলেন ১৯৬ রানে। আজ সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক। এছাড়া ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দিকে ছুটছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও।
দিনের শুরুতে ৩ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ব্যাট করতে নামেন ২৬ রান নিয়ে। দিনের প্রথম সেশনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন করুনারত্নে। আর দেড়শো করেন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই। আর দ্বিতীয় সেশনের শেষের দিকে সেঞ্চুরি করেন ধনাঞ্জয়া।
তবে শেষ সেশনে আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আজ করুনারত্নের ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে শঙ্কা জেগেছিলো। তখন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ১৯২ রানে। কিন্তু একটু পর খেলা শুরু হলেই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারা চতুর্থ ব্যাটসম্যান করুনারত্নে। এর আগে মাহেলা জয়াবর্ধনে অধিনায়ক হিসাবে তিনবার ডাবল সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া মারভান আত্তাপাত্তু ও কুমার সাঙ্গাকারা করেন এক বার করে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৩ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ১২৭ রান এবং হাফসেঞ্চু করেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিম ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন ও লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের ভিতর সবচেয়ে সফল ছিলেন বিশ্ব ফার্নান্দো। বাংলাদেশের রানের পাহাড় গড়ার ইনিংসে এই পেসার শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়া ধনাঞ্জয়া, লাকমল ও কুমারা শিকার করেন ১ টি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (চতুর্থ দিন শেষে)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৪১/৭(ডি.) (ওভার: ১৭৩; তামিম- ৯০, সাইফ- ০, নাজমুল- ১৬৩, মুমিনুল- ১২৭, মুশফিক- ৬৬*, লিটন- ৫০*, মিরাজ- ৩, তাইজুল- ২, তাসকিন- ৬*; ফার্নান্দো- ৩৫-৯-৯৬-৪, কুমারা- ২৮-৪-৮৮-১,
লাকমল- ৩৬-১৪-৮১-১, ধনাঞ্জয়া- ৩০-১-১৩০-১)
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫১২/৩ (ওভার: ১৪৯; থিরিমান্নে- ৫৮, করুনারত্নে- ২৩৪*, ফার্নান্দো- ২০, ম্যাথিউজ- ২৫, ধনাঞ্জয়া- ১৫৪*; মিরাজ- ৫২-৬-১২৩-১, তাসকিন- ২৫-৬-৯১-১, তাইজুল- ৩৯-৯-১৩৬-১)