ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৩ আসরের নিলাম শেষ হওয়ার দিন পাঁচেক পেরিয়ে গেছে। আসরের সব কটি দলের দল গোছানোর কাজ প্রায় শেষ। এখন শক্তিমত্তায় কোন দল এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে- সেই আলোচনার একটা রেশও শুরু হয়েছে। তবে মাঠের ফল যেখানে মূখ্য সেখানে এমন আলোচনা খুব একটা ফলপ্রসু হয় না। দিনশেষে একটা বাকযুদ্ধের উৎস তৈরি হয় আরকি।
যাহোক, এবারের নিলামে অনেকেই দল পেয়েছেন, আবার অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে অনেকেই দল পাননি। স্যাম কারেন, হ্যারি ব্রুকদের আকাশ ছোঁয়া দামে অনেকে বিস্ময়ে ভেসেছেন। আবার অনেক পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের দল না পাওয়াতে সমর্থকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশাও তৈরি হয়েছে।
অবশ্য তাদের দরজা এখনই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। প্রত্যেক আসরেই নির্দিষ্ট দলে কোনো খেলোয়াড়ের ইনজুরির কারণে রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন হয়। তাই অবিক্রীত ক্রিকেটারদের জন্য এখনও সামনে সুযোগ থাকছে। যে কেউই রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে ঢুকে যেতে পারেন এই আইপিএলে। এখন এই দৌড়ে কারা এগিয়ে আছে সেটি নিয়েই মূলত খেলা ৭১ এর আজকের আয়োজন। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
- রাসি ভ্যান ডার ডুসেন
দক্ষিণ আফ্রিকার এ মিডল অর্ডার এ ব্যাটার এবারের আইপিএলে দারুণ এক রসদ হতে পারতেন। তবে শেষ পর্যন্ত অবিক্রীতই থেকে গেছেন তিনি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এর আগে আইপিএলে যদিও তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন, তবে সে ম্যাচগুলোতে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য এখনো তাঁর সামনে সুযোগ থাকছে। কোনো দলের ব্যাটার ইনজুরিতে পড়লে ভ্যান ডার ডুসেন দারুণ এক অপশন হতে পারেন। আর এই ব্যাটারের বিশেষ ব্যাপার হল, তিনি মিডল অর্ডার থেকে লোয়ার মিডল অর্ডারেও ব্যাটিং করতে পারেন, এমনকি ওপেনিংয়েও এর আগে নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছেন প্রোটিয়া এ ব্যাটার।
- রাইলি মেরেডিথ
প্রতি আইপিএল আসরেই ফাস্ট বোলারদের বেশি ইনজুরির ঘটনা বেশি দেখা যায়। আর ফাস্ট বোলারের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে দারুণ এক অপশন হতে পারেন রাইলি মেরেডিথ। অজি এ পেসারে অন্যতম গুণ হল, তিনি দুর্দান্ত গতিতে বল করতে পারেন।
বিগব্যাশে তিনি হোবার্ট হারিকেনসের হয়ে খেলেন। আইপিএলে অবশ্য পাঞ্জাব কিংসের হয়ে গত মৌসুমে খেলেছিলেন মেরেডিথ। তবে এবারে নিলামে ছিলেন অবিক্রীত। এখন বিকল্প পেসার হিসেবে যেকোনো দলই চাইলে তাঁকে দলে টানতে পারে।
- ওয়েন পার্নেল
দারুণ বোলিং করেন, পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে কাজ চালানোর মত ব্যাটিংও করতে পারেন। তাছাড়া ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এ বোলিং অলরাউন্ডারের।
কিন্তু এ বারের আইপিএলের নিলামে তাঁকে দলে টানতে কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি। তবে রিপ্লেসমেন্ট অপশন হিসেবে সেই দৌড়ে ভালভাবেই আছেন তিনি। এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালস আর পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ওয়েন পার্নেলের।
- রোহান কুন্নুম্মাল
ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে পারেন। সেই সুবাদে ভারত এ দলেও এ বছর সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে আইপিএল-এ এসে আর দল পাননি। থেকে গিয়েছেন অবিক্রীত হিসেবেই। তবে লোকাল ক্রিকেটার হওয়ায় কুন্নুম্মালের জন্য সুবিধা হল, কারোর ইনজুরি কিংবা যে কোনো কারণে রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে আইপিএলের যেকোনো দলে ঢুকে যেতে পারেন তিনি।
- শ্রেয়াস গোপাল
এ বারের নিলামে অন্যতম বিস্ময়কর হিসেবে এসেছিল শ্রেয়াস গোপালের অবিক্রীত থাকার খবরটা। আইপিএল ক্যারিয়ারে তিন তিনটি দলের হয়ে ৪৯ টি ম্যাচ খেলেছেন। গায়ে জড়িয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস আর সান রাইজার্স হায়দ্রাবাদের মত জায়ান্ট দলের জার্সি। তারপরও এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াতে এবার কোনো দলের আগ্রহ দেখা যায়নি। তবে কর্ণটাকার এ ক্রিকেটারের আইপিএলের পথ এখনই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। ব্যাকআপ ক্রিকেটার হিসেবে তিনিও যেকোনো সময় যেকোনো দলে ঢুকে যেতে পারেন।