২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) স্বপ্নের মত সময় কাটিয়েছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার; প্রায় ৩০ গড় আর ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে চারশর বেশি রান করেছিলেন। ফলে চলতি বছর তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুণ, কিন্তু শুরুর দিকে তাঁর ব্যাটে বলার মত ইনিংস দেখা যায়নি। তবে তিনি যে ফুরিয়ে যাননি সেই কথা ঠিকই মনে করিয়ে দিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে।
এদিন ৫২ বল মোকাবিলা করে ৭০ রান করেছেন এই ব্যাটার; ছয় রান আর তিন চারে সাজানো ইনিংসটির কারণেই প্রাণ ফিরে এসেছে মুম্বাই বনাম কলকাতা ম্যাচে। ব্যাটিং লাইনআপের বাকিদের ব্যর্থতার দিনে তাঁর এমন পারফরম্যান্সই শ্রেয়াস আইয়ারদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে।
সিলেটে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে একাই গুঁড়িয়ে দেয়া নুয়ান থুসারার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। কলকাতাকেও এদিন একই অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছিলেন এই লঙ্কান পেসার, তাঁর তান্ডবে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল দলটির টপ অর্ডার। ২৮ রানে তিন উইকেটের পতন ঘটলে দলের হাল ধরেন ভেঙ্কটেশ, কিন্তু কিছু বুঝে উঠার আগেই আরো দু’জন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
তীব্র চাপের মুখেও অবশ্য তিনি ভেঙে পড়েননি; মনীশ পান্ডেকে সঙ্গে নিয়ে অসম্ভব এক লড়াই শুরু করেন। শুরুতে রয়েসয়ে খেলেছিলেন, প্রথম বিশ বলে এসেছিল কেবল ২৩ রান।তবে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে তাঁর ব্যাটের গতি বাড়ে, তাই তো হাফসেঞ্চুরির জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে।
৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরির পর এই ডানহাতি নিশ্চয়ই ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি, ৮৩ রানের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আবারো ব্যাটিং ধ্বস নামে। আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং কেউই পারেননি রান করতে; একটা পর্যায়ে তিনিও উইকেট দিয়ে আসেন। ফলতঃ শেষদিকে প্রত্যাশিত রান জমা হয়নি দলীয় সংগ্রহে।
তবে এই তারকা যা করেছেন সেটির গুরুত্ব এতে ম্লান হয়ে যায়নি। স্কোরবোর্ড ৫৭/৫ হওয়ার পরেও কলকাতা ম্যাচে টিকেছিল সেজন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে তাঁকে। যদিও এতটুকুতে তুষ্ট না হয়ে ধারাবাহিক হয়ে উঠার চেষ্টা করতে হবে, তাহলেই কেবল পায়ের নিচে মাটি শক্ত হবে।