সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের ওপেনিং জুটি দীর্ঘ করতে ব্যর্থ বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। যা সময়ের সাথে সাথে ভারতের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। এর ফলে ইনিংসের শুরুতেই তাঁদের উপর চেপে বসছে প্রতিপক্ষের বোলাররা।
তবে ওপেনিং জুটির নিয়মিত ব্যর্থতা ঢেকে যাচ্ছে তাঁদের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ত্রাতা হিসেবে আগমন ঘটছে সুরিয়াকুমার যাদবের, কখনোবা ঋষাভ পান্তের। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে এর বড় মাশুল দিতে হতে পারে রোহিত বাহিনীকে। কেননা সুপার এইটের প্রতি ম্যাচই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পাওয়ার প্লেতে রান বৃদ্ধির গুরু দায়িত্বটা ওপেনারদের কাধেই থাকে।
চলমান বিশ্বকাপের আগেও বিরাট-রোহিত ছিলেন দারুণ ছন্দে। বিশ্বমঞ্চে এসেই যেন নিজেদের হারিয়ে ফেলেছেন এই দুই তারকা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়ে বিরাট কোহলি এবারের বিশ্বকাপের আসরে চার ইনিংসে রান করেছে মাত্র ২৯ রান। যা তাঁর নামের পাশে বড্ড বেমানান।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের আগে জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শতকের দেখা পেয়েছিলেন রোহিত। তবে গত তিন ইনিংসে ডান হাতি এই ব্যাটার মাত্র ২৪ রান যোগ করতে পেরেছেন। বোঝাই যাচ্ছেন ভালো পারফর্ম্যান্স এখনো বেশ দূরেই রয়েছেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার।
রোহিত-বিরাটকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর বেশ কয়েকটি কারণ ছিল। তার মধ্যে তাঁদের উভয়ের ব্যাটিং ধরণের ভিন্নতা অন্যতম। রোহিত যেমন দাঁড়িয়ে থেকেই বড় বড় শট খেলে থাকেন, অপরদিকে বিরাট রানিং বিটুইন দ্য উইকেতে বেশ তৎপর।
পরিকল্পনা সফলতার দেখা পাই এখনো। চার ইনিংস পর এই জুটির সর্বোচ্চ সংগ্রহ মাত্র ২২ রান। এবারের আসরে ওপেনিংয়ে নেমে মোট ৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় রোহিত-বিরাট। অর্থাৎ ওপেনিং জুটিতে রানের খরায় ভারত। তিন নাম্বারে নামা ঋষাভ পান্ত, অথবা মিডল অর্ডারে সুরিয়াকুয়ার কিংবা শিভাম দুবে রান না পেলে তাঁদেরকে লজ্জায় ডুবতে হতো বারবার। রোহিত-বিরাটের ব্যর্থতার দিনে তাঁরাই রানের চাকা সচল রেখেছে।
টি-টোয়েন্টিতে প্রতিটি ডট বলই মানসিক চাপের খোরাক। তাই কিছু ভুল শট নির্বাচন আর খানিকটা মানসিক চাপের কারণেই ব্যর্থতার মুখ দেখতে হচ্ছে ভারতের ওপেনিং ব্যাটারদের। রোহিত-বিরাট আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়। সময় মত ঠিকই জ্বলে উঠবেন। দেখাবেন নিজেদের আসল রূপ। তবে তেমনটা না হলে পরিবর্তনের রংধনু দেখা যেতে পারে ভারতের আকাশে।