স্পিন নিয়ে বিরাট ‘ফাঁপড়ে’ কোহলি

আবারও সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিরাট কোহলিকে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে কাটিয়েছেন। যদিও ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছিলেন। তবে এরপর অনুষ্ঠিত হওয়ার শ্রীলঙ্কা সিরিজে আবারও ব্যর্থ বিরাট।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারত হেরেছে। ১৯৯৭ সালের পর শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে ভারতকে। স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার বাণ আঘাত করছে। কেননা তিন ইনিংসের একটিতেও যে ২০ এর ঘর পার করতে পারেননি বিরাট।

সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে। তাতে করেই বিরাটের স্পিন দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে ভারতের ক্রিকেট মহলে। যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রতিটা ভারতীয় ব্যাটারই খাবি খেয়েছেন। সেজন্যই বিরাটের সাবেক সতীর্থ দীনেশ কার্তিক বিরাটকে দোষারোপ করতে চাইছেন না।

তিনি বলেন, ‘স্বীকার করি যে এই সিরিজে বিরাট হোক কিংবা রোহিত অথবা অন্য যে কেউ, একটু নতুন বলে, ৮-৩০ ওভারের মধ্যে ব্যাট করাটা সহজ ছিল না। দুশ্চিন্তার কিছু নেই। খুব বেশি উইকেট এমন ব্যবহার করে না, তবে সত্যিই এই উইকেটে ব্যাট করা ভীষণ কঠিন ছিল। আমি বিরাটের পক্ষে কথা বলব না। তবে এই উইকেটে ব্যাটিং করা খুব কঠিন ছিল।‘

যদিও দীনেশ দোষের কিছু দেখছেন না। তাই বলে যে বিরাটের স্পিন দূর্বলতা মিছে হয়ে যায় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় রাজত্ব করেছেন বিরাট। তবে স্পিনের বিপক্ষে তার পরিসংখ্যান খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয়।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০৬ ইনিংসে স্পিন মোকাবেলা করেছেন বিরাট। এই সময়ে তিনি ব্যাট চালিয়েছেন ৯২.৫৮ স্ট্রাইকরেটে। স্পিনারদের বিপক্ষে এখন অবধি ৫০৯৫ রান জড়ো করেছেন নিজের নামের পাশে।

অপরদিকে, পেসারদের বিপক্ষে ১৪০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন বিরাট। ৩৬৯ ইনিংসে পেসারদের সামলেছেন তিনি। রান আদায় স্বাভাবিকভাবেই বেশি করেছেন। ৮০২২ রান নিয়েছেন তিনি। সুতরাং পার্থক্যটা চোখের সামনেই রয়েছে।

যদিও বিরাটের স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করানো যায়। সাধারণত স্পিনাররা যখন বল হাতে আসেন, তখন খেলার গতি একটু থমকে যায়। পাওয়ার-প্লে না থাকায় সহজেই বাউন্ডারি হাঁকানো যায় না। সে বিষয়টা অবশ্যই যুক্তি সংগত।

কিন্তু তবুও বিরাট ক্যালিবারের একজন ব্যাটারের স্ট্রাইকরেটে এমন বিশাল তারতম্য সত্যিকার অর্থেই বেশ দুশ্চিন্তার কারণ। যদিও স্পিনারদের বিপক্ষে আউট হওয়ার প্রবণতাও তার কম। ৭৩ বার স্পিনারদের উইকেট দিয়েছেন বিরাট। অন্যদিকে, পেসারদের বিপক্ষে ২১৮ বার আউট হয়েছেন তিনি।

কিন্তু দিনশেষে স্কোরবোর্ডে রান জড়ো না করতে পারলে দলের জন্য তা খুব একটা উপকারে আসে না। সেই রান সংগ্রহের জায়গায় কোথাও একটা পিছিয়ে যাচ্ছেন বিরাট। সময় তো খুব বেশি বাকি নেই। সেই সময়টুকু-তে ঘুরে দাঁড়ানোর পর্যাপ্ত সময় বিরাট পাবেন কি-না সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link