শেষবার ভারতের মাটিতে টেস্টে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু সেবার একটা অঘটন ঘটিয়েছিলেন এবাদত হোসেন। বিষয়টা নিতান্ত কাকতালীয়। তবে মজার ছলেই হোক কিংবা অন্য কোন পন্থায় হোক এবাদতকে দোষারোপ করছিলেন বিরাট কোহলির সমর্থকেরা।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ২০১৯ সালে ভারত গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। দু’টো টেস্ট ম্যাচেই যাচ্ছেতাই পারফরমেন্স করেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। যার ফলে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে বিরাট কোহলি দূর্দান্ত ব্যাটিং করেছিল। অধিনায়ক বিরাটের শেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন সেই ম্যাচে।
১৩৬ রান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরও বড় সংগ্রহের দিকে। কিন্তু তাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এবাদত হোসেন। ডিপ স্কোয়ার লেগে ফিল্ডার রেখে, লেগ স্ট্যাম্প চ্যানেলে বল করতে থাকেন এবাদত। তেমনই একটি বলে আর লোভ সামলাতে পারলেন না বিরাট কোহলি। খেললেন ফ্লিক শট।
ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ অঞ্চলে দূর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন তাইজুল ইসলাম। একটা স্মিত হাসি নিয়ে সেদিন সাজঘরে ফিরেছিলেন বিরাট। যাবার পথে এবাদত তাকে দিয়েছিলেন স্যালুট। ঘুনাক্ষরে তখন হয়ত বিরাট টের পাননি যে তার মুখের হাসি লম্বা সময়ের জন্যে মলিন হতে চলেছে।
ওই শতকের পর বিরাট বহুদিন শতক বঞ্চিত ছিলেন। প্রায় তিন বছর ধরে শতক খরাতে ভুগছিলেন বিরাট কোহলি। তাইতো এবাদতকে দোষারোপ করছিলেন বিরাট ভক্তরা। যদিও সেই কাকতালীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাস্যরস ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কুসংস্কারে বিশ্বাস না করলে, ওমন ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করবার বিশেষ কোন কারণ নেই।
তবে সেই সেঞ্চুরির পর ২০২২ সালে এসে বিরাট আবার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। মাঝে অবশ্য শতকের কাছাকাছি গিয়েও ফিরেছেন বহুবার। এরপর ২০২২ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি আদায় করেন বিরাট। যা ছিল তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
আবারও ভারতের মাটিতে যাচ্ছেন এবাদত। তবে মূল স্কোয়াডের অংশ হিসেবে নয়। তিনি যাচ্ছেন দলের সাথে। তার অভিজ্ঞতা তরুণ নাহিদ রানাদের জন্যে দারুণ কিছু বয়ে নিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া এবাদতকে দলের আবহাওয়ার মাঝে আবারও নিয়ে আসতে চাইছে বিসিবি।
অন্যদিকে বিরাট কোহলি অবশ্য ফিরেছেন ভারতের টেস্ট দলে। বাইশ গজে এবাদত ও বিরাটের লড়াই দেখার আক্ষেপটা বরং তাতে বেড়েই গেল। অদূর ভবিষ্যতে আবারও এই দুইজন হবেন মুখোমুখি, এমন আশায় অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে সমর্থকদের।