ওয়াহাব রিয়াজদের কোচ এখন ট্যাক্সিচালক!

তিনি হলেন পাকিস্তানের ইমরান খাত্তাক। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) লেভেল টু কোচ। সালমান বাট, ওয়াহাব রিয়াজ ও আইজাজ চিমাদের মত ক্রিকেটারদের কোচিং করিয়েছেন।

করোনা ভাইরাসের চলমান প্রকোপে গোটা বিশ্বই নাভিশ্বাস। আর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে উপমহাদেশে। অর্থনীতিতে নামছে ধস। অনেকে তাই পেটের দায়ে নিজেদের চিরচেনা পেশা ছেড়ে অবলম্বন করছেন ভিন্ন পন্থা।

তেমনই একজন হলেন পাকিস্তানের ইমরান খাত্তাক। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) লেভেল টু কোচ। সালমান বাট, ওয়াহাব রিয়াজ ও আইজাজ চিমাদের মত ক্রিকেটারদের কোচিং করিয়েছেন। অথচ, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। সংসারের খরচ যোগাতে এই কোভিড ১৯ কালে তিনি বেছে নিয়েছেন ট্যাক্সিচালকের পেশা।

খাত্তাকের ১০ বছরের কোচিং করার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি মডেল টাউন গ্রিন্স দলের কোচ ছিলেন, যেখানে পাকিস্তান ক্রিকেটের নামীদামী অনেকেই খেলেছে। তিনি পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও সুপারকে বলেন, ‘কোচ হিসেবে জীবনটা ভালই চলছিল। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দলকে কোচিং করাতাম। পাশাপাশি কাজ করতাম অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু, মহামারীতে সব ধরণের কাজ বন্ধ হয়ে গেল। তাই এখন আমি ট্যাক্সি চালাচ্ছি।’

বিশ্বব্যাপী এখন ‘নিউ নর্মাল’ পরিস্থিতি। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও অনেক দেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালিয়ে নিয়েই চলছে জীবন বাঁচানোর সংগ্রাম। খাত্তাক মনে করেন, তাঁর মত অনেকেই আছেন, যাদের জীবিকা নির্ভর করে ক্রিকেটের ওপর। তাই দেশে ক্রিকেট ফেরানোর পক্ষে তিনি।

বললেন, ‘ইংল্যান্ডে ক্রিকেট শুরু হয়েছে। সব ধরণের বিধিনিষেধ মেনে ওরা শুরু করেছে। পাকিস্তানেও একইরকম করে শুরু করা কোনো ব্যাপার না। মানুষকে তাঁদের পেশায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।’

এই কোচ মনে করেন, অবস্থার উন্নতির জন্য নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করা উচিৎ। তার দাবী, কোচদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কাজ করার সুযোগ থাকা উচিৎ স্বাভাবিক অবস্থায়।

তিনি বলেন, ‘পেশাদার কোচদের জন্য নীতিমালা থাকা উচিৎ। তাঁদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ থাকা উচিৎ। এর বাদে এখনকার চাওয়া হল দ্রুতই ঘরোয়া ও স্থানীয় ক্রিকেট ফেরানো হোক – যাতে করে অসংখ্য বেকার হয়ে যাওয়া কোচের জীবন আবারো স্বাভাবিক হয়।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...