মনোবিদ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা বিসিবির

প্রথমে নারী জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য মনোবিদ নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। যদি সাফল্য পাওয়া যায়, তবে মূল জাতীয় দলকেও এর আওতায় আনা হবে।

পৃথিবীজুড়ে চলছে দু:সময়। সেই মার্চ মাস থেকে স্বাভাবিক জীবনটা বদলে গেছে। প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটারদের জীবনেও। প্রায় চার মাসের মত গৃহবন্দী থাকার প্রভাব পড়তে পারে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও। তাই, ক্রিকেটারদের জন্য মনোবিদ নিয়োগ করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব কবে নাগাদ শেষ হবে, আর কবে নাগাদ দেশে ক্রিকেট মাঠে ফিরবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাই দেশের খেলোয়াড়দের জন্য মনোবিদ নিয়োগের সিদ্বান্ত নিলো বিসিবি। কানাডাপ্রবাসী মনোবিদ আলী আজহার খানকে নিয়ে ভাবছে বিসিবি। কারণ অতীতে দু’বার বাংলাদেশ দলের সাথে কাজ করেছেন আজহার।

প্রথমে নারী জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য মনোবিদ নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। যদি সাফল্য পাওয়া যায়, তবে মূল জাতীয় দলকেও এর আওতায় আনা হবে।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে নারী দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে আজহারের পাঁচটি সেশন হবে। সুবিধাজনক হলে, পরবর্তীতে সেশন বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হবে।

আজ দেবাশীষ বলেন, ‘এই মহামারীর সময়ে আমরা খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা সর্ম্পকে ইতোমধ্যে চিন্তা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কানাডাপ্রবাসী আলী আজহার খানের সাথে যোগাযোগ করেছি, যিনি আমাদের আগেও সাহায্য করেছিলেন। তাকে আমাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। আমাদের তিনি তার একটি পরিকল্পনা দিয়েছেন। তবে এখন নারী ক্রিকেট দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে এই পরিকল্পনার মধ্যে রেখেছি। যদি সফল হই পরে মূল জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও আনবো। কিন্তু, আগে আমরা এই দু’টি দলকে নিয়ে ভাবছি।’

মনোবিদের প্রতিটি ক্লাসে আপাতত ২৫ জন করে ক্রিকেটার থাকবেন। ২০১৪ সালে প্রথম বিসিবির সাথে কাজ করেন মনোবিদ আজহার। এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে আবারো আজহারকে যুক্ত করে বিসিবি। খেলোয়াড় সেই দফায় জানায়, আজহারের ক্লাস থেকে উপকৃত হয়েছেন। তাই আবারো সেই আজহারের ওপরই আস্থা রাখতে চলেছে বিসিবি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...