‘পাঁচ’ – এর মায়াজালেই বুঝি আটকে পড়েছেন লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু। সে ম্যাচে ২৪ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান এ লেগস্পিনার।
এরপর ওমান আর সর্বশেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ম্যাচেও পেয়েছেন ফাইফারের দেখা। আর এতেই দারুণ একটা কীর্তি গড়েছেন হাসারাঙ্গা। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় বোলার ও প্রথম স্পিনার হিসেবে টানা তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়লেন শ্রীলঙ্কার এই লেগস্পিনার।
ওয়ানডেতে টানা তিন ম্যাচে ৫ উইকেট—এত দিন এই কীর্তি ছিল শুধু কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসের। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ৫ উইকেট নেন ওয়াকার।
যার শুরুটা হয়েছিল পেশোয়ারে কিউইদের বিপক্ষে ১১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। এরপর শিয়ালকোটে ঐ একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের শিয়ালকোটে ১৬ রানে ৫ উইকেট নেন ওয়াকার।
এর কিছুদিন বাদে পাকিস্তান সফরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। করাচিতে এবার ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ফাইফার তুলে নেন পাকিস্তানের পেসার। ৫২ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট।
আর এতেই টানা ৩ ম্যাচে ফাইফারের অনন্য কীর্তিতে নাম লেখান ওয়াকার ইউনিস। যে কীর্তিতে গত ৩৩ বছর ধরে তিনি ছিলেন নিঃসঙ্গ। এবার তাঁর কীর্তিতে ভাগ বসালেন হাসারাঙ্গা।
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩২৫ রানের পাহাড় গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর আইরিশদের ইনিংসের হাসারাঙ্গা কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও তাঁর স্পিন বিষেই নীল হয়ে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৯২ রানে।
১৩৩ রানের সহজ এ জয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সুপার সিক্সে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর ৭৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে দারুণ এক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। টানা তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তিতে তিনি ‘দ্বিতীয়’ বোলার হলেও, প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র স্পিনার কিন্তু এই হাসারাঙ্গাই।