খানিকটা দেরি, একটা আপিল আর আম্পায়ারের আউট ঘোষণা – রাতারাতি বদলে গিয়েছে ক্রিকেটাঙ্গন। মাঠের খেলার চেয়ে আলোচনার টেবিলে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইমড আউট। ক্রিকেটবোদ্ধা থেকে শুরু করে ক্রিকেট সমর্থক সবার মুখে মুখেই এখন এসব বিষয়।
তবে আলোচনার টেবিল ছাপিয়ে এবার ম্যাথুস কাণ্ড পৌঁছে গিয়েছে আইনের দুয়ারে। না, ম্যাথুস বা সাকিব কারো বিরুদ্ধেই আইনী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। মূলত এই ব্যাপারে সাকিবকে একাধিকবার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ওয়াকার ইউনুসের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে বাংলাদেশ হাই কোর্ট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের বিশ্বকাপ ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক এই পেসার। সেসময় টাইমড আউট নিয়ে কথা বলতে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সম্পর্কে সমালোচনামূলক মন্তব্যের কারণে এই রায় দিয়েছে আদালত।
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার রাসেল আর্নল্ডের সঙ্গে মিলে সাকিবের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই পাক তারকা টাইমড আউটের আবেদনকে ‘অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। এছাড়া বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, এটি ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী কাজ ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে যা দেখেছি তা মোটেই উপভোগ করিনি। এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো ছিল না। আমি পুরানো ধ্যান ধারনার মানুষ; আমার মনে হয় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউট করার জন্য নাটক করা হয়েছে।’
হাইকোর্টের জারিকৃত রুলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতিও নির্দেশনা রয়েছে। কেন বিসিবি আইসিসির কাছে ওয়াকার ইউনুসকে ধারাভাষ্যকার প্যানেল থেকে বাদ দেয়ার জন্য অভিযোগ করবে না এই মর্মে জানতে চেয়েছেন বিচারকরা।
একই সাথে নোটিশ পাওয়ার দশদিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর। সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী ওয়ালিউর রহমান খানের দায়েরকৃত পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে জাস্টিস মুস্তাফা জামান ইসলাম এবং জাস্টিস মোহাম্মদ আতাবউল্লাহ আলোচিত এই রুল জারি করেছেন।