বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ইন্দোর টেস্টের পিচ এখন ক্রিকেট পাড়ায় অন্যতম ‘হট টপিক’। মাত্র আড়াই দিনেই শেষ হওয়া টেস্টের পিচকে আইসিসিও স্বীকৃতি দিয়েছে, ‘বাজে পিচ’ হিসেবে। তাই এখন সব আলোচনার কেন্দ্রে চতুর্থ টেস্টে আহমেদাবাদের উইকেট।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে শেষ টেস্টে জিততেই হবে ভারতকে। তাই সবমিলিয়ে সেই টেস্টের জন্য কেমন পিচের চাহিদা জানিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট সেই বিষয়টিই এখন আগ্রহের কেন্দ্রে।
ইন্দোরে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দুইদিনেই পড়েছিলো ৩০ উইকেট। ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই দেখা যায় বড় বড় টার্ন। প্রথম দিনে গড় টার্ন ছিলো ৪.৮ ডিগ্রি। মাত্র সাত সেশনে শেষ হওয়া ম্যাচে ৩১ উইকেটের ২৬ টি নিয়েছেন স্পিনাররা। প্রথম দুই টেস্টে নাস্তানাবুদ হওয়া অজিরাও এই টেস্ট জিতে এখনো টিকে আছে সিরিজে।
ইন্দোর টেস্টের ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের রিপোর্টেও উঠে এসেছিলো ইন্দোরের র্যাংক টার্নারের কথা। ক্রিস ব্রড বলেন, ‘পিচটি খুবই ড্রাই ছিলো। ব্যাট এবং বলের জন্য সমান সহায়তা করেনি পিচ। টেস্টের শুরু থেকেই স্পিনারদের সাহায্য করেছে পিচ।’
সিরিজের শেষ টেস্ট আয়োজিত হবে গুজরাটের আহমেদাবাদে। ইন্দোরের পিচের ভাগ্যে জুটেছে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তাই এমন অবস্থা এড়াতে আগে থেকেই সতর্ক গুজরাট ক্রিকেট এসোসিয়েশন (জিসিএ)। নিজেদের মাঠের সুনাম নষ্ট করতে চায় না আহমেদাবাদ। তাই ইন্দোরের মত পিচের পরিবর্তে ‘সাধারণ ধরণের পিচ’ই বানাতে যাচ্ছেন আহমেদাবাদের কিউরেটর।
টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোনো চাহিদা পত্র দেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জিসিএর সূত্রে জানা যায়, টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। কিউরেটররা পুরো ঘরোয়া সিজনের মতই চিরাচরিত পিচ প্রস্তুত করছেন।
জিসিএর এক কর্তা বলেন, ‘গত জানুয়ারিতেই রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ হয়েছে এখানে। রেলওয়ে ৫০০ এর বেশি রান করার পর গুজরাট ইনিংস ব্যাবধানে হারলেও দুটো ইনিংসের দুইশর বেশি রান করেছে। এবারও এর চেয়ে খুব বেশি ব্যতিক্রম হবে না। গত কিছুদিন ধরে বিসিসিআই-এর গ্রাউন্ড এবং পিচ কমিটি স্থানীয় কিউরেটরদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা থাকবে একটি ভালো মানের টেস্ট ম্যাচ পিচ প্রস্তুত করার।’
যদিও গুজরাট ক্রিকেট এসোসিয়েশন এর এমন দাবির ওপর ভরসা করার কারণ খুব কমই আছে। ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠেই দুইটি টেস্ট খেলেছিলো ভারত। ভারত জিতেছিলো দুই টেস্টেই এবং ম্যাচ দুটিই শেষ হয়েছিলো দুই দিনে।
কিন্তু জিসিএর ওই কর্তা বলেন, ‘সেই সিরিজের ক্ষেত্রে দুটো ব্যাপার হয়েছে। একটি ছিল দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ এবং আরেকটি স্টেডিয়াম পুনঃসংস্কারের পর অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ছিল। তাই পিচ কেমন আচরণ করবে তা তখন কেউই জানতো না।’