খোদ ওয়াংখেড়েতে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন, এক ইনিংসে। বছর তিনেক আগে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৪ উইকেট। মুম্বাইয়ের ঘরের ছেলে আজাজ প্যাটেলকে সেদিনও চাইলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া যেতে পারত। দেওয়া হয়নি কিংবা যায়নি, কারণ সেবার ভারতে ভরাডুবি হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের।
পরাজিত দলের সেরা সেনানীকে আজকাল আর ক্রিকেটে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়ার রেওয়াজ নেই। তাই তো, যে কীর্তি ইতিহাসে মাত্র তিন জনের – সেই কীর্তি ছুঁয়েও পুরস্কার মঞ্চে ছিলেন না আজাজ প্যাটেল। সেই আক্ষেপটা নিশ্চয়ই এতদিন পুষে রেখেছিলেন আজাজ।
আক্ষেপটাই এবার আগুন হয়ে ঝরল সেই ওয়াংখেড়েতেই। আগুনে পুড়ে ছাই হল ভারত। ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক এক সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মত ভারতের মাটিতে তাঁদের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে গেল নিউজিল্যান্ড। আর এটা সম্ভব হয়েছে একজন আজাজ প্যাটেলের কল্যানে।
পুরো সিরিজে তিনি নিয়েছেন ১৫ টি উইকেট। এর মধ্যে কেবল ওয়াংখেড়েতেই নিয়েছেন ১১ উইকেট। এবার তিনি ম্যাচ উইনার। ম্যাচ উইনার হয়েই উঠলেন পুরস্কারের মঞ্চে। পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
মুম্বাই – কেবল সিনেমা আর ক্রাইম নয়; ভারতের ক্রিকেট রাজধানী বলেও ডাকতে পারেন মুম্বাইকে। সেই সুনীল গাভাস্কার থেকে শচীন টেন্ডুলকার; ক্রিকেটার কম জন্ম দেয়নি মুম্বাই। ভারতের হয়ে তো বটেই, ভিন দেশের হয়ে খেলা মুম্বাই ক্রিকেটারের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। আর এরই আরও এক সংস্করণ এই আজাজ ইউনুস প্যাটেল।
মুম্বাই থেকে উঠে এসেছেন। ২৫ বছর পর আবার সেই মুম্বাইতেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলতে নামলেন। তবে ভারতের নয়, নিউজিল্যান্ডের জার্সি পরে। আর এই ভিনদেশের জার্সি পরেই হোম গ্রাউন্ডে মাটিতে মিশিয়ে ফেললেন খোদ ভারতকেই। তাতে ভারতীয় ক্রিকেট হারলেও জিতে গেল মুম্বাইয়ের ক্রিকেট সংস্কৃতি! জিতে যায় আজাদ ময়দানের হাজারো সংগ্রাম!