বিশ্বকাপ এলেই ক্রিস জর্ডানের ঘুম ভাঙে

আক্ষরিক অর্থেই সারা বছর তাঁর খবর থাকে না। নিয়মিত মূল একাদশে জায়গা হয় না, বিশ্বকাপেও সুযোগ পাবেন কি পাবেন না - সেই নিশ্চয়তা থাকে না।

আক্ষরিক অর্থেই সারা বছর তাঁর খবর থাকে না। নিয়মিত মূল একাদশে জায়গা হয় না, বিশ্বকাপেও সুযোগ পাবেন কি পাবেন না – সেই নিশ্চয়তা থাকে না।

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন বটে, তিনি তেমন কোনো বড় তারকা নন। তাঁকে নিয়ে নিলামের ঘরে তেমন একটা টানাটানি হয় না। তবে, একবার বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গেলেই ক্রিস জর্ডান হয়ে ওঠেন অন্য মানুষ। বিশ্বকাপে আসলেই ঘুম ভাঙে।

হ্যাঁ, বিশ্বকাপে ঘুম ভেঙেছে এই দানবের। আর সেই ঘুম ভাঙার পর তিনি এমন জোরে এক হাই তুলেছেন যাতে কেঁপে উঠেছে মার্কিন মুল্লুক। রীতিমত বিশ্বকাপের আসরে হ্যাটট্রিক করে বসেছেন তিনি।

বার্বাডোজে যুক্তরাষ্টের ইনিংসের শেষ তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন তিনি, ১৯ তম ওভারে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডেলিভারিতে। তাঁর সামনে আলী খান, নসটাশ কেনজিজ বা সৌরভ নেত্রাভালকারদের কোনো জবাবই ছিল না।

সব মিলিয়ে জর্ডান ২.৫ ওভার বোলিং করার সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট। এর আগে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা নিউজিল্যান্ড ফেরত অ্যান্ডারসনকে।

অল আউট হওয়ার আগে মাত্র ১১৫ রান করে যুক্তরাষ্ট্র। দারুণ লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগালেও, সুপার এইটে এসেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে ক্রিকেটের নবাগত এই শক্তি। কোনো রান না তুলেই তাঁরা হারায় নিজেদের শেষ পাঁচ উইকেট।

বিশ্বকাপে এখন চলছে হ্যাটট্রিকের মৌসুম। ১৪ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে এখন পর্যন্ত হ্যাটট্রিক হয়েছে নয়টি। এর মধ্যে দু’দিনেই হয়েছে তিনটি। দু’টি অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্সের, একটা এই ক্রিস জর্ডানের।

গত বিশ্বকাপের ফাইনালেও পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’টি উইকেট নিয়েছেন। অথচ, ওই ম্যাচের পর থেকে এই বিশ্বকাপে আসার আগ পর্যন্ত খেলতে পেরেছেন কেবল ছয়টা ম্যাচ। কিন্তু, জর্ডান যে অন্য ধাতুর। তিনি জানেন, কখন পারফরম করতে হয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...