২০০৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল, ২০১৮ বিশ্বকাপে আবারো কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০২২ বিশ্বকাপেও তাই – পাঁচ পাঁচটি বিশ্বকাপে ব্রাজিলের পারফরম্যান্স কেবল হতাশই করেছে সমর্থকদের। একসময়ের পরাক্রমশালী দলটা গত দুই দশক ধরে বারবার হোঁচট খেয়েছে, একই ভুলের মাশুল দিয়েছে বারবার।
কিন্তু বর্তমানে ব্রাজিলের অবস্থান আরো তলানিতে; খেলায় নেই কোন ছন্দ, খেলোয়াড়দের মাঝেও ভাল করার তাড়না নেই। যদিও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে দলটি। কোপা আমেরিকায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে তাঁরা, মাঠের খেলাতেও আধিপত্য ছিল তাঁদের।
আগের ম্যাচে অবশ্য কোস্টারিকার বিপক্ষে রীতিমতো হাঁসফাঁস করেছে সেলেসাও-রা। ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি তাঁরা, উল্টো একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে বিরক্তি বাড়িয়েছে দর্শকদের।
এর আগে জুন মাসের দুইটি প্রীতি ম্যাচেই হতশ্রী রূপ দেখা গিয়েছিল তাঁদের। এন্ড্রিকের শেষ মুহূর্তের গোলে মেক্সিকোর বিপক্ষে মান বাঁচলেও তুলনামূলক দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ড্র করে ফুটবল বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলেন তাঁরা। দেশটির কিংবদন্তিরাও নিজেদের ক্ষোভ লুকিয়ে রাখতে পারেননি।
তবে প্যারাগুয়ে ম্যাচ দিয়ে সাম্প্রতিক সমালোচনার জবাব দিতে পেরেছে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে দলটির খেলোয়াড়রা। যদিও গত কয়েক বছর ব্রাজিলের খেলা প্রত্যাশা মেটাতে পারছে না সেই উত্তর এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ক্লাব ফুটবলে দাপিয়ে বেড়ানো তারকারা কেন হলুদ জার্সি গায়ে জড়ালেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে শুরু করেন সেই রহস্যও এখনো অজানা।
ব্রাজিলিয়ান কেউ সবশেষ ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ১৭ বছর আগে আর ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট জিতেছিল এরও দশ বছর আগে। তবে এবার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তরুণ ফরোয়ার্ডরা, হয়তো প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটাই প্রত্যাবর্তনের দরজা খুলে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা কতটা ধরে রাখতে পারেন রোনালদিনহো, কাকার উত্তরসূরীরা।