ভিড়ের মধ্যেও আলাদা হয়ে থাকতে জানেন তিনি। তাই, জাসপ্রিত বুমরাহ সবার থেকে আলাদা। সোজা বাংলায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অষ্টম ম্যাচে রানের তাণ্ডব দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে বোলারদের এই দুর্দশার দিনে মুম্বাইয়ের জাসপ্রিত বুমরাহ করেছেন তুলনামূলক মিতব্যয়ী বোলিং। রান-রেকর্ড সব পাশে রেখে উঠে আসছে বোলিংয়ে বুমরাহ’র দেরিতে আসার বিষয়টি।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররা গড়েন এভারেস্ট সমান রান। হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররা তিন উইকেটের বিনিময়ে ২৭৮ রানের বিশাল এক টার্গেট ছুড়ে দেয় মুম্বাইকে। জবাবে মুম্বাইও পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৬ রান করতে সমর্থ হয়। অসংখ্য রেকর্ডের জন্ম হয় এই একটি ম্যাচ দিয়ে।
দিনশেষে প্রশ্ন উঠে হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্ব নিয়ে। বোলারদের সঠিক ব্যাবহার করতে পারছেন কি তিনি? কেননা, পাওয়ার প্লে-তে বুমরাহকে শুধুমাত্র একবারই দেখা গিয়েছিল। সেটা আবার চতুর্থ ওভারে। তারপর তাকে আবার ফিরিয়ে আনেন ১৩ তম ওভারে। আর মাঝেই হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররা রীতিমত তাণ্ডবই চালায় মুম্বাইয়ের বোলারদের উপর। ততক্ষণে ১৭৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়ে যায় হায়দ্রাবাদ।
বুমরাহই মুম্বাইয়ের একমাত্র বোলার যিনি কিনা একক সংখ্যার ইকোনমিতে বল করতে পেরেছেন ঐ ম্যাচে। বুমরাহ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৯.০০ ইকোনমিতে খরচ করেন ৩৬ রান। যদিও পাননি কোনো উইকেট।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুম্বাইয়ের ব্যাটার টিম ডেভিড কথা বলেন অন্য সুরে। তিনি বলেন, ‘বুমরাহ যেকোনো জায়গায় বল করতে সামর্থ রাখে। আর ভারতীয় এই বোলারের উপর দলের পুরো আস্থা আছে। সে যে পরিস্থিতিতেই বল করুক না কেন, তাঁর উপর দলের পুরো বিশ্বাস আছে। সে নতুন বলে তাঁর কারিশমা দেখাতে পারে। তবে দিনশেষে তাঁকে কোথায়,কখন বল করানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত আমি নিচ্ছি না। তাই এ বিষয়ে আমার পক্ষে মন্তব্য করা কঠিন।’
হার্দিক পান্ডিয়ার এমন সিদ্ধান্তে মুম্বাই দর্শকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বুমরাহকে দেরিতে বল দেয়ার ফলসরূপ ট্রাভিস হেড আর অভিষেক শর্মা মুম্বাইয়ের বোলাদের উপর ভালভাবেই চড়াও হয়। আপাত দৃষ্টিতে যদিও মনে হবে যে হেনরিখ ক্লাসেনের উইকেট পাওয়ার জন্য বুমরাহকে দেরীতে বল দেয়া হয়। তবে তা ক্লাসেনকেও অবাক করে। ২৩৫.২৯ স্ট্রাইক রেটে ৭ টি ছয় আর ৪ টি চারে ৩৪ বলে মোট ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।