পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সিদ্ধান্ত ভুল নয়। বাবরকে সাদা বলের নেতৃত্বে ফেরানোর সিদ্ধান্তটাকে সঠিক বলতেই হচ্ছে। অন্তত পরিসংখ্যান এখানে কথা বলবে বাবরের হয়েই।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাবরের অধিনায়কত্বের পরিসখ্যান বেশ সমৃদ্ধই বটে। পিসিবির নির্বাচক কমিটির সর্বসম্মত সুপারিশের পর, পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি পাকিস্তান পুরুষ ক্রিকেট দলের সাদা বলের (ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি) অধিনায়ক নিযুক্ত করেছেন বাবর আজমকে।
সদ্য সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বে হতাশাজনক ফল পায় পাকিস্তান। তাঁর অধিনায়কত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল পাকিস্তান। এবারের পাকিস্তান সুপার লিগে শাহীনের নেতৃত্বে থাকা লাহোর কালান্দার্স একটি মাত্র ম্যাচে জয়ের মুখ দেখে। তাই পিসিবি সাদা বলের অধিনায়ক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টিতে বাবর প্রথম অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান ২০১৯ সালে। এ পর্যন্ত তিনি ৭১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যার মধ্যে ৪২ টিতে জয়, ২৩ টিতে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় বাবরকে। আর বাকি ৬ ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে বাবর করেন ২১৯৫ রান। যা অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের নেতৃত্ব পান ২০২০ সালে।এ পর্যন্ত ৪৩ টিতে ওয়ানডে-তে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেন বাবর। এর মধ্যে ২৬টি ম্যাচ পায় জয় আর ১৫ টি ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পায় বাবরের দল। একটি ম্যাচ ড্র হয় আর একটি ম্যাচে আসেনি কোনো ফলাফল। তিনি ওডিআইতে অধিনায়ক হিসেবে করেন ২৩৭০ রান। পাকিস্তানি ব্যাটার হিসেবে যা চতুর্থ সর্বোচ্চ।
শুধু কথায় নয়, পরিসখ্যানই বলে দেয় বাবর আজম পাকিস্তানের নেতৃত্বের জন্য কতটা যোগ্য। তবে আগামী এপ্রিলে আবারো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আর তারপরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই বাবর নেতৃত্বে জয়ের স্বাদ পেতে অপেক্ষায় আছে পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা।