বিপিএল মানেই তো তারার মেলা। আর সেই মেলায় তৌফিক খান তুষারের নামটা একটু অপরিচিতই বটে। তবে, এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হঠাৎ করেই তিনি আলোচনায়। বলাবলি হচ্ছে, তিনি নাকি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এবারের সারপ্রাইজ প্যাকেজ হতে যাচ্ছেন। মূলত ওপেনিং পজিশেনে দেশিদের মধ্যে বিকল্প হিসেবে আছেন তুষার। সিলেট বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাট করে আলোচনায় আসেন তিনি।
এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তুষারের। তবে তিনি আশাবাদী তাঁর অভিষেক নিয়ে। দলের ব্যাটিংয়ে দারুণ এক সংযুক্তি হতে পারেন তিনি। তেমনটা সবাই মনে করেন। তাছাড়া তুষাড় বেশ মুখিয়ে আছেন নিজেকে প্রমাণের সুযোগের অপেক্ষায়। ঢাকায় তৃতীয় পর্বের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমি যদি একাদশে থাকি তবে আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। যাতে করে আমার পারফরমেন্সটা দলের কাজে আসে।’ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে এবারের বিপিএলে খুব একটা সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে নেই। তারুণ্য নির্ভর দলটা বেশ ধুকছে। শঙ্কায় রয়েছে প্লে-অফ খেলবার। এমন সময়ে বাড়তি চাপের মুখে তুষাড় নিজেকে ঠিক কতটা মেলে ধরতে পারবেন সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এবারের হেড কোচ জুলিয়ান উড। তিনি মূলত একজন পাওয়ার হিটিং কোচ। আর ব্যাটিংয়ে আগ্রাসনের কারণেই আলোচনায় আছেন তুষার। এই যুগলবন্দি নিশ্চয়ই দেখার মতই হবার কথা। কোচ সম্পর্কে তুষার বলেন, ‘আমার কিছু দূর্বলতা ছিল, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। মূলত সে (উড) একজন পাওয়ার হিটিং কোচ। যেটা আমার জন্যে বেশ ভাল হয়েছে। আমার যেসব শট খেলতে একটু অসুবিধে হতো সে শটগুলো তিনি শিখিয়ে দিয়েছেন। সবমিলিয়ে তাঁর সাথে কাজ করে আমার নিজস্ব বেশ উন্নতি হয়েছে।’
পাওয়ার হিটিং কোচের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন বিপিএলের মত মঞ্চে সেই দীক্ষা কাজে লাগাতে। তিনি ঠিক কতটুকু পারবেন সেটা না হয় সময়ই বলে দেবে। তুষাড় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজনপুর গ্রামের মরহুম মাহমুদ খানের ছেলে।
সিলেটের ছেলেই এখন চট্টগ্রামের ভরসার নাম। পয়েন্ট তালিকায় সুবিধাজনক অবস্থায় নেই চট্টগ্রাম। এই অবস্থায় তুষারের বিপিএল অভিষেক হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।