আধুনিক ক্রিকেটে ‘অপরাজিত’ থেকে ইনিংস শেষ করতে পারাটা আলাদা গুরুত্ববহ। ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং গড়ে তাঁর প্রভাব থাকে। যদিও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বার অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যানদের তালিকাটা খুবই চমকপ্রদ।
কারণ, এই তালিকায় বোলারদের সংখ্যা বেশি। কারণ, নিচের দিকে ব্যাট করার ফলে, তাঁরা অপরাজিত থাকার সুযোগ বেশি পান।
- চামিন্দা ভাস (শ্রীলঙ্কা) – ১০৮ বার
লোয়ার মিডল অর্ডারে কয়েকটা বড় স্কোর খেললেও চামিন্দা ভাস মূলত পেস বোলার হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি ওয়ানডেতে ৭২ বার, টি-টোয়েন্টিতে একবার ও টেস্টে ৩৫ বার অপরাজিত ছিলেন। মধ্যম মানের অলরাউন্ডার হলেও লঙ্কান এই গ্রেটকে উপমহাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাঁ-হাতি পেসার ধরা হয়।
- শন পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা) – ১১৩ বার
চামিন্দা ভাসের চেয়ে শন পোলক ভাল মানের অলরাউন্ডার ছিলেন। ৭২ বার ওয়াননডেতে, ৩৯ বার টেস্টে আর দুই বার টি-টোয়েন্টিতে তিনি অপরাজিত ছিলেন। সাবেক এই প্রোটিয়া অলরাউন্ডার মূলত ফাস্ট বোলার হলেও লোয়ার মিডল অর্ডারে কার্য্যকর কিছু ইনিংস খেলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে জানতেন তিনি।
- মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা) – ১১৯ বার
ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিন জাদুকর ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি না পেলেও অপরাজিত থাকার সেঞ্চুরি ঠিকই গড়েছেন। নিচের দিকে ব্যাট করার এই এক সুবিধা। সাদা পোশাকে তিনি ৫৬ বার অপরাজিত ছিলেন। অন্যদিকে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ৬৩ বার ছিলেন অপরাজিত, এর মধ্যে সবগুলোই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তবে, ব্যাটিং নয় – স্পিন বোলিং দিয়েই বিশ্ব জয় করেছিলেন তিনি। বলা হয়, বিশ্বের ইতিহাসেরই সেরা স্পিনার এই লঙ্কান গ্রেট।
- মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত) – ১৪২ বার
এই তালিকায় ঠাঁই পাওয়া একমাত্র পুরোদস্তর ব্যাটসম্যান তিনি। তিনি আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার। ওয়ানডেতে ৮৪ রান, টি-টোয়েন্টিতে ৪২ বার ও টেস্টে ১৬ বার মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত ছিলেন। তালিকায় তিনি এখন পর্যন্ত আছেন সবার ওপরে। আর বলাই বাহুল্য, এই তালিকায় তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি পুরোদস্তর ব্যাটসম্যান।
- জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড) – ১৪২ বার
টেস্টে ২১৬ টি ইনিংস খেলেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। এর মধ্যে ৯৬ বারই অপরাজিত ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, ইতিহাসের সেরা ইংলিশ পেসারদের একজন জিমি চারটি টি-টোয়েন্টি খেলে তাতে তিনবার অপরাজিত ছিলেন। আর ওয়ানডেতে অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বার। জেমস অ্যান্ডারসন এখনও দিব্যি টেস্ট খেলে চলেছেন, ফলে তাঁর এখানে আরো ওপনে ওঠার সুযোগ রয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।