শাহীন না বুমরাহ? কাকে বেশি মিস করবেন?

সময়ের সেরা পেসারদের নাম নিলে তাঁদের নাম থাকতে বাধ্য। আর যখন মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, তখন সেখানে মূল রিং মাস্টারই তো হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু, তাঁরা নেই। নেই শাহীন শাহ আফ্রিদি, নেই জাসপ্রিত বুমরাহ।  ইনজুরি তাঁদেরকে এশিয়া কাপের ময়দান থেকেই যোজন যোজন দূরে ঠেলে দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান – এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচ মানেই তো ক্রিকেটে বিশেষ কিছু। দুই দেশের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্কটার বিস্তৃতি রাজনৈতিক সীমানা থেকে একেবারে ক্রিকেটের মাঠ অব্দি তা সবারই জানা। এইবার এই দ্বন্দ্বের বিস্তৃতি ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার অবধি। আর সেই যুদ্ধের মাঝেই আসছে অল্প একটু আক্ষেপ। সেই আক্ষেপটা ওই দুই পেস গ্রেটকে ঘিরে।

পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের কাণ্ডারি শাহীন আফ্রিদি হাঁটুর ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। তারপর পাকিস্তানের পেস বোলিং গ্রেট ওয়াকার ইউনুস টুইট করে বলেন,শাহীনের চোট ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় স্বস্তি। তবে আমাদের জন্য দুঃখজনক আমরা তাকে মাঠে পাব না। আফ্রিদি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো।’

ইতোমধ্যে ওয়াকার ইউনুসের টুইটটি সীমান্তের এই প্রান্তে বিতর্কের ঝড় তুলে দিয়েছে। বিশেষত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিষয়টিতে বেশ চঁটেছেন । প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা এর উত্তরে জানান দিয়েছেন যে, পাকিস্তানকেও তর্কযোগ্যভাবে বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর পেস বোলার, জাসপ্রিত বুমরাহর অনুপস্থিতি সমানভাবে স্বস্তি দেবে।

সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানও এই তালিকায় আছেনপাঠান টুইট করেছেন, ‘এটি অন্যান্য দলের জন্য স্বস্তির বিষয় যে বুমরাহ এবং হার্শাল প্যাটেল এই এশিয়া কাপ খেলছেন না।’

ইউনুস স্পষ্টতই তাঁর টুইটে গত বছরের দুবাইতে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাঁহাতি পেসার শাহীন আফ্রিদির চমকপ্রদ ৩/৩১ স্পেলটির কথা ইঙ্গিত করছেন। যেখানে তিনি একাই ভারতীয় দুই শক্তিশালী ওপেনার রোহিত শর্মাকে গোল্ডেন ডাকে ও লোকেশ রাহুলকে তিন রানে সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। আফ্রিদি ঝড়ে সেই ম্যাচে ভারত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। ওদিকে পাকিস্তান কোন উইকেট না হারিয়েই ১৫২ রান তুলে মাত্র ১৭.৫ ওভারে একটি অনায়াস জয় লাভ করে। জাসপ্রিত বুমরাহ সেই ম্যাচে তিন ওভারে ২২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।

আবার ২০১৮ সালের এশিয়া কাঁপের দ্বিতীয় গ্রুপ  পর্যায়ের ম্যাচে এই মাঠেই রোহিত শর্মা ও তাঁর ওপেনিং সঙ্গী শিখর ধাওয়ান মিলে আফ্রিদি থেকে ছয় ওভারে ৪২ রান আদায় করে নিয়েছিলেন। এবং শাহিন আফ্রিদি সেই ম্যাচে উইকেট শূন্য ছিলেন। ম্যাচটি ভারত নয় উইকেটে জিতে নিয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটিই একমাত্র উপলক্ষ ছিল, যখন আফ্রিদি ভারতের বিপক্ষে বোলিং করেছিলেন। তাই তাকেভারতের নেমেসিস’ লেবেল করার যৌক্তিকতা নেই। 

আবার অনেকের মতে যশপ্রিত বুমরাহ তাঁর সেরা ফর্মে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, তার ধারণা পেতে হলে এই বছরের জুলাইতে অনুষ্ঠিত ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআইতে ৬/১৯ এর বিধ্বংসী রূপের ফুটেজটি দেখতে ওয়াকার ইউনিসকে পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় ভক্তরা।

তবে এসব বিতর্ককে পাশ কাটিয়েই চলুক এশিয়া কাপ। প্রায় ১০ মাস পর মুখোমুখি হতে যাওয়া ভারত ও পাকিস্তানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পাকিস্তান কি জয়ের ধারা বজায় রাখবে? নাকি ভারত গত বছর টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ তুলে নিবে?  তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আর কিছু মুহূর্ত মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link