ব্রাজিল ফুটবলে এর থেকে খারাপ সময় এসেছে কমই। মাঠের খেলার বেহাল দশা থেকে শুরু করে মাঠের বাইরে সব জায়গাতেই তাঁরা যেন ধুকছে।
শেষ তিনটি ম্যাচেই হেরেছে তাঁরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ০-২ গোলে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ১-২ গোলে আর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মর্যাদার সুপারক্লাসিকোতে ০-১ গোলে।
এর মাঝেই নেতিবাচক শিরোনামে আবার সামনে এসেছে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায়। ফিফার নিয়মে ফুটবল ফেডারেশনে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকা চলবেনা। তারপরেও ব্রাজিলে এটা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। রিও ডি জেনাইরোর কোর্টে বর্তমান ফেডারেশনকে বরখাস্ত করে কিছুদিন আগে। তারপরেই ফিফা চিঠি দেয় তাদেরকে।
তবে আপাতত আরেকটা বড় দুশ্চিন্তা আছে। জাতীয় দলের কোচ কে হবেন?
২০২২ বিশ্বকাপের পর ব্যর্থতার দায়ে বিদায় নেন তিতে। তখন থেকেই তাদের এই চিন্তা। এরই মাঝে জোর গুঞ্জন ওঠে হেভিওয়েট কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি নাকি হবেন সেলেকাওদের কোচ।
অ্যানচেলত্তি বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়ে কী দারুণভাবেই না সামলাচ্ছেন এই ইতালিয়ান মাস্টারমাইন্ড! তাই একটা সন্দেহ ছিলই যে আদৌ এটা সত্যি হবে কিনা। তবুও ব্রাজিল এখন পর্যন্ত কোনো কোচ নিয়োগ করেনি পূর্ণকালীন। ভারপ্রাপ্ত কোচ ফেরনান্দো দিনিজকে দিয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছিল।
এরই মাঝে আচমকাই এল অ্যানচেলত্তির রিয়ালের সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর খবর। খবর বলছে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত থাকছেন তিনি। বর্ষীয়ান এই কোচ নিজেও নাকচ করে এসেছেন রিয়ালের কথা। সেটাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।
অনেকেই বলতে পারেন ফেরনান্দো দিনিজকেই তো চালিয়ে নেওয়া যায়। অসুবিধা হলো তার অনাধুনিক কৌশল। প্রেস করা তাঁর অভিধানে নেই বললেই চলে। এখন এরকম পুরনো কৌশল নিয়ে টেকা মুশকিল।
ব্রাজিলের এমন একজন কোচ দরকার যিনি ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবল আর ব্রাজিলিয়ান সাম্বাকে একসাথে মিশিয়ে দেবেন সু-নিপুণভাবে। মূল দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই খেলছেন এখন ইউরোপে। তাই খেলায় ইউরোপের একটা ধাঁচ আসবেই। আবার কোনো ব্রাজিলিয়ানই যদি কোচ হন তাহলে তাঁর কৌশলে সাম্বার সৌরভটা থাকবে।
এখন পর্যন্ত কোনো কোচ এটা পুরোপুরি সফলভাবে পারেননি। ব্রাজিল হয়তো অ্যানচেলত্তিতে আশায় বুক বেধেছিল, সেটা হল না। এখন দেখার বিষয়, কে হবেন সেই এক্স ফ্যাক্টর?