অবসরের ঘোষণা দিয়ে অবকাশ যাপন করছেন রোহিত শর্মা। তবে ভারত জাতীয় দলের তো অবসরের সময় নেই। বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-ও একটি বিশ্বকাপে নিশ্চিতরুপেই থাকতে চাইবে না সন্তুষ্ট। তাইতো আগামীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
সেই ধারায় নতুন কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন গৌতম গম্ভীর। এবার পালা নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নিয়োগের। যদিও ভারতের একটি দলকে জিম্বাবুয়েতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভমান গিল। তবে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে তার পরবর্তী অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
সেদিক থেকে এগিয়ে আছেন হার্দিক পান্ডিয়া। অবশ্য তিনি একা নন। বিসিসিআইয়ের ভাবনাতে সম্ভবত আরও দুইজন রয়েছেন। একজন জাসপ্রিত বুমরাহ, অন্যজন সুরিয়াকুমার যাদব। এই তিনজনের মধ্যে অবশ্য সুরিয়ার সম্ভাবনা খানিক কম। কেননা দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরীক্ষিত সেনানী নন তিনি।
তবে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা, আউট অব দ্য বক্স ভাবার সক্ষমতা রয়েছে তার। সে দিকগুলো বিবেচনায় তিনি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি জানাতেই পারেন। পাশাপাশি বেশ নির্ভীক এক ব্যাটার তিনি। তার সেই গুণ ছড়িয়ে যেতে পারে গোটা দলের মাঝে। স্রেফ অভিজ্ঞতার কারণেই পিছিয়ে যাচ্ছেন সুরিয়াকুমার যাদব।
সেদিক থেকে অবশ্য এগিয়ে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। অভিজ্ঞতার কমতি নেই। তাছাড়া চাপ সামলে নেওয়ার দারুণ দক্ষতা রয়েছে তার। ভীষণ কঠিন মুহূর্তেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন তিনি। হিমশীতল এক মস্তিষ্ক ব্যবহার করতে পারেন দারুণভাবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সার্কিটে ভারতের অন্যতম ‘ম্যাচ উইনার’ জাসপ্রিত।
ঠিক সে কারণে তাকেও বিবেচনা করা যেতে পারে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে। তাছাড়া সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে দলের বাকিদের দিয়ে প্রয়োজনটা আদায় করে নিতে পারবেন জাসপ্রিত। তিনি নিজেও অবশ্য পারফরমেন্স করতে কার্পণ্য করেন না।
কিন্তু ভারত জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের পরবর্তী অধিনায়ক হওয়ার সবচেয়ে জোরাল দাবি জানাচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়ক হার্দিকের সময়টা বাজে কেটেছে। তবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দুই আইপিএল ভালই কেটেছিল তার।
পরপর দুই আসরে গুজরাট টাইটান্সকে ফাইনালে তুলেছিলেন। গুজরাটের প্রথম আসরেই শিরোপার স্বাদ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় আসরে হয়েছিলেন রানার্সআপ। অভিজ্ঞতা নেয়াহেত মন্দ নয়। এছাড়া বেশ কিছু সিরিজে জাতীয় দলকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তার সাহসী মানসিকতা, হার না মারার দৃঢ়তা ভারত দলকে নব জাগরণের জন্যে উদ্ধুদ্ধ করবে নিশ্চিতরুপেই। তাছাড়া দলের সকলের কাছে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়া পারফরমার হিসেবে তিনি ফিরেছেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফরম করেছেন।
এতসবকিছু বিবেচনায় হার্দিক-ই হয়ত হতে চলেছেন ভারতের পরবর্তী টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। গুঞ্জনটা বেশ জোরালো বটে। ভারত কেন্দ্রিক গুঞ্জনগুলো সত্যি হতে খুব বেশি কালক্ষেপণ করে না।