অপরাজিত থেকে টানা দুইবার ফাইনালে উঠেছে দুই দল। এক অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয়ত ভারত। তবে অস্ট্রেলিয়ার দুইবারই জিতেছিল বিশ্বকাপ। দুই ভিন্ন ফরম্যাটের ফাইনালে ওঠা ভারত অবশ্য ইতোমধ্যেই একটি ফাইনাল হেরে বসে আছে। দ্বিতীয় ফাইনালে কি হবে তা হয়ত সময় বলে দেবে।
কেননা তাদের লড়াইটাও যে আরেক অপরাজিত দলের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকাও হারেনি একটি ম্যাচ। প্রথমবারের মত কোন বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দলটি। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর আর কোন ফাইনালে ওঠার সুখস্মৃতি নেই প্রোটিয়াদের।
ভারতের ক্ষেত্রেও চিত্রটা প্রায় একই। ২০১৩ সালে শেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। এরপর ফাইনাল খেলেছে ভারত, কিন্তু জেতা হয়নি একটি শিরোপাও। ওই ক্ষুধা নিশ্চয়ই রয়েছে রোহিত শর্মার দলে। প্রোটিয়াদের ক্ষুধার তীব্রতা অবশ্য খানিক বেশি।
কেননা প্রায় প্রতিটা বৈশ্বিক আয়োজনে দক্ষিণ আফ্রিকা হাজির হয়েছে অন্যতম দাবিদার হিসেবে। কিন্তু নকআউট পর্বে এসে প্রতিবার খেই হারিয়েছে দলটি। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতও প্রতিটা শিরোপা জয়ের দাবিদার ছিল তারা। সবচেয়ে বেশি দাবি জানিয়েছিল ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। কিন্তু সেবার সেই অস্ট্রেলিয়া হয়েছিল পথের কাটা।
ফাইনালে তাই দুই ‘আন্ডার অ্যাচিভার’ দলের লড়াই। দুই দলই রয়েছে দারুণ ছন্দে। প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণের জবাবটা রোহিত শর্মা, সুরিয়াকুমার যাদবরা দেবেন বলেই নিয়ে রেখেছেন প্রস্তুতি। ভারতের বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পরিকল্পনার ছক কষে ফেলেছেন হয়ত কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করামরা।
জম্পেশ একটা লড়াইয়ের আভাসই মিলছে। তাছাড়া ব্রিজটাউনে গড়াবে মেগা ফাইনাল। সেখানকার উইকেট দারুণ স্পোর্টিং। তবে ব্যাটাররা একটু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। রান বন্যার এক লড়াই সকলের প্রত্যাশা। শিরোপা খরা কাটাতে চায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাড়ম্যাড়ে লড়াই পণ্ড করে দিতে পারে এখন অবধি করে আসা সকল পরিশ্রম।
ভারত জানে চ্যাম্পিয়ন হতে হতে হেরে যাওয়ার দুঃখ। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জানা আছে খুব কাছ তবুও যোজন দূরে থাকার কষ্ট। ‘চোকার’ তকমা থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভের সুযোগ কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চাইবে না প্রোটিয়ারা। সেমিফাইনাল জয়ের পর রোহিতের অশ্রুসজল নয়নই বলে দেয়, পিপাস ঠিক কতটা তীব্র!