এখনও ভারতের দুশ্চিন্তার নাম ‘মিডল অর্ডার’

২০১৯ বিশ্বকাপে বিজয় শংকর, কেদার যাদবদের নিয়ে গড়া ভারতের মিডল অর্ডার ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। তবে পরেও সেই ব্যর্থতাকে মুছে ফেলতে পারেনি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আরেকটি বিশ্বকাপ যখন দ্বারপ্রান্তে, তখন আবারো ভারতের মাথা ব্যাথার নাম মিডল অর্ডার।

২০১৯ বিশ্বকাপে বিজয় শংকর, কেদার যাদবদের নিয়ে গড়া ভারতের মিডল অর্ডার ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। তবে পরেও সেই ব্যর্থতাকে মুছে ফেলতে পারেনি ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আরেকটি বিশ্বকাপ যখন দ্বারপ্রান্তে, তখন আবারো ভারতের মাথা ব্যাথার নাম মিডল অর্ডার।

এবার অবশ্য মিডল অর্ডারে অনেক বিকল্প পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, ঈশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, সুরিয়াকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা— এদের মধ্যে কাকে রেখে কোথায় খেলাবে, তা নিয়েই মধুর সমস্যার মুখে এখন ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে ৪ নম্বরে কে খেলবেন? বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত এই পজিশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ভারত। এই পজিশনের দৌড়ে থাকা শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল, দুজনেই রয়েছেন দারুণ ছন্দে।

রাহুল ও আইয়ার দীর্ঘদিন ছিলেন চোটে। দুজনেই এশিয়া কাপ দিয়ে ফিরেছিলেন ক্রিকেটে। আর এই দুই ব্যাটারের মধ্যেই একজন খেলবেন চারে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে এই পজিশনের অবশ্য সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন আইয়ার। তবে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই চারে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল।

এশিয়া কাপের পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আবার এই সিরিজে নিজের পুরনো পজিশনে ফিরে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের একাদশে এ দুই ব্যাটারের মধ্যে কে খেলবেন চারে, তা নিয়ে দ্বিধান্বিত ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট।

যদিও পরিসংখ্যান বলে, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চার নম্বরে শ্রেয়াস আইয়ার আর পাঁচ নম্বরে লোকেশ রাহুলই সবচেয়ে বেশি সফল। তবে সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে পাঁচ নম্বরের জন্য বিবেচনায় থাকা ঈশান কিষাণও তো কম যান না। সর্বশেষ এশিয়া কাপে ভারতের একাদশে এই ৫ নম্বর পজিশনের ব্যাট করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

চার ও পাঁচ নম্বর পজিশন নিয়ে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট মধুর সমস্যায় থাকলেও ৬, ৭ ও ৮ নম্বর পজিশন নিয়ে উদ্ভুত হয়েছে নতুন দুশ্চিন্তা। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিতি থাকলেও শেষ ১৬ ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩ তে। সাতে নামা রবীন্দ্র জাজেদার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা আবার আরো হতাশার।

চলতি বছরে ১৫ টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলা এ অলরাউন্ডারের ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ছিল ৬৪.২৮। অথচ, বিশ্বকাপের মঞ্চে এই সাত নম্বর পজিশনেই মারকাটারি ব্যাটিং করতে হবে তাঁকে। আবর্তিত হতে হবে পিঞ্চ হিটারের ভূমিকায়। কিন্তু এশিয়া কাপের পর পান্ডিয়া আর জাদেজা প্রস্তুতির জন্য ব্যাট করার সুযোগ পাননি বলেই বলা চলে। সে ক্ষেত্রে বিশ্বকাপের আগে এ দুই ক্রিকেটারের প্রস্তুতি কতটা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

একই ভাবে, ভারতের ভাবনায় ব্যাটিং গভীরতার জন্য ৮ নম্বরে একজন অলরাউন্ডার খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কন্ডিশন বিবেচনায় শার্দুল ঠাকুর অথবা রবিচন্দন অশ্বিনের মধ্যে একজন সুযোগ পাবেন। কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁরাও খুব একটা সুযোগ পাননি। তাদের জন্য মূল পরীক্ষাটা হবে বিশ্বকাপের মঞ্চেই।

ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম পাঁচ টি পজিশন এখন নির্ভার থাকাই যায়। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফিনিশিংও। আর সেই প্রস্তুতিতে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে ভারতের। নির্দিষ্ট দিনে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ভারতের মিডল অর্ডার কতটুকু দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...