কেন দ্রাবিড়েই আবার থিতু ভারত?
এখন থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে কোচদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে আয়োজিত টুর্নামেন্ট জেতা ভারতের মূল লক্ষ্য।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরেই জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের। কোচের আসনে নতুন কেউ বসবেন নাকি দ্রাবিড়কেই বহাল রাখা হবে সেই উত্তর খুঁজতে গত কয়েকটা দিন ব্যস্ত সময় কেটেছে টিম ম্যানেজম্যান্টের। অবশেষে উত্তর মিলেছে, ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচিং প্যানেলে বদল আসছে না।
শুধু হেড কোচ নয়, তাঁর সহকারীদের সাথেও নতুন চুক্তি করা হবে। এখনো সবকিছু চূড়ান্ত না হলেও কোচদের সাথে ইতোমধ্যে সম্মতিতে পৌঁছেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এখন থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে কোচদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে আয়োজিত টুর্নামেন্ট জেতা ভারতের মূল লক্ষ্য।
বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ বলেন, ‘টিম ইন্ডিয়া সব ফরম্যাট জুড়ে একটি শক্তিশালী দল হয়ে উঠেছে। আইসিসির র্যাঙ্কিং সেটাই প্রতিফলিত করে। বিশ্বকাপেও ফাইনালের আগে টানা ম্যাচ জিতেছে ছেলেরা; এসব কিছুর জন্য প্রধান কোচ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।’
অন্যদিকে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘আমি বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাদের আমার উপর আস্থা রাখার জন্য; আমার মতামতকে সমর্থন করার জন্য এবং খারাপ সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই। দায়িত্ব পালনের জন্য বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়, এজন্য আমার পরিবারের ত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা এখন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি, তবে শ্রেষ্ঠত্বের অন্বেষণে বরাবরের মতই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অবশ্য ‘দ্য ওয়াল’ কোন কারণে জাতীয় দলকে বিদায় বলতে চাইলে বিকল্প প্রস্তুত ছিল। আরেক কিংবদন্তি ব্যাটার ভিভিএস লক্ষ্মণকে হয়তো দেখা যেত ভারতের নতুন হেড কোচ হিসেবে। তবে লক্ষ্মণ নিজে খুব একটা আগ্রহী নন এতে; আপাতত এনসিএ-তে কাজ করতে চান তিনি, পাইপলাইন আরো শক্ত করতে চান।