চারিদিকে সমালোচনার তীব্র স্রোত। তবুও হেলদোল নেই যেন বাংলাদেশ দলের। কিন্তু মধ্যরাতে রনি তালুকদারের ফেসবুক পোস্ট। তাতে খানিকটা হেলদোল যেন হয়েছে সমর্থকদের মনে। সেই পোস্টের ক্যাপশনে বিমানের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা জুড়ে দিয়েছেন রনি। সেই পোস্টের পরই যেন সকলের মনে জেগেছে প্রশ্ন, কেন রনি যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে?
না, চাইলেই রনি তালুকদার যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রে। ঘুরতে হোক কিংবা বিশ্বকাপ উপভোগ করবার উদ্দেশ্যে তিনি যেতেই পারেন নিজ অর্থায়নে। তবে প্রশ্ন জেগে ওঠার যে রয়েছে বিশেষ কারণ। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি যে কোনভাবেই কাজ করছে না।
লিটন কুমার দাস অফ ফর্মের গ্যাড়াকলে আটক বহুদিন ধরেই। সৌম্য সরকার সদ্যই ইনজুরি থেকে ফিরেছেন। তিনিও যে ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে পেরেছেন তেমনটি নয়। তাইতো অনেকেই ভেবে বসেছে রনি তালুকদার বিশ্বকাপে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন।
তেমন সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া অবশ্য যায় না। কেননা চাইলে এখনও স্কোয়াডে পরিবর্তন আনা সম্ভব। সেক্ষেত্রে অবশ্য ইনজুরি আক্রান্ত হতে হবে কোন খেলোয়াড়কে। কেবল তবেই তার পরিবর্তে অন্য খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করবার অনুমতি মিলবে আইসিসির কাছ থেকে।
তেমন এক পরিস্থিতি যে সৃষ্টি হয়নি বাংলাদেশের শিবিরে, সে বিষয়ে এখনও কোন নিশ্চয়তা নেই। দলে ইনজুরির আক্রান্ত খেলোয়াড়ের সংখ্যাও যে কম নয়। তাসকিন আহমেদ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাঝেই দলের সাথে ভ্রমণ করেছেন।
অন্যদিকে, শরিফুল ইসলাম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা-কালীন সময়ে ইনজুরি আক্রান্ত হয়েছেন। তাছাড়া সৌম্য সরকার সদ্যই হাঁটুর ইনজুরি থেকে ফিরেছেন। সেই ইনজুরি যে নতুন করে মাথাচাড়া দেয়নি, সে নিশ্চয়তাও তো নেই। তেমন কোন কারণে রনিকে দলের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও হতে পারে।
তবে রনি তালুকদারের এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। সময় গড়ালেই সম্ভবত বিষয়টি হবে আরও স্বচ্ছ। আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া বিশেষ কোন উপায় নেই সমর্থকদের সামনে। সঠিক সময়েই মিলবে সকল প্রশ্নের উত্তর।