বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি রোমাঞ্চ এশিয়া কাপে

মহাদেশীয় এই লড়াই শুরু হতেই টের পাওয়া যায় উত্তাপ; কখনো কখনো মনে হয় বিশ্বকাপের চেয়ে বোধহয় এটিই বেশি রোমাঞ্চকর।

না, এশিয়া কাপের ট্রফি ভ্রমণে বের হয় না; কেউ ক্ষণগণনাও করে না এই টুর্নামেন্টের জন্য। সূচি প্রকাশে দেরি হলে কিংবা টিকিট নিয়ে সমস্যা হলেও সমালোচনা হয় না ততটা – সবমিলিয়ে বিশ্বকাপকে ঘিরে যতটা উন্মাদনা সৃষ্টি হয়, এশিয়া কাপকে ঘিরে তার সিকিভাগও দেখা যায় না।

তবে মহাদেশীয় এই লড়াই শুরু হতেই টের পাওয়া যায় উত্তাপ; কখনো কখনো মনে হয় বিশ্বকাপের চেয়ে বোধহয় এটিই বেশি রোমাঞ্চকর।

এশিয়ার দলগুলোর মাঝে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা-ই এশিয়া কাপকে নিয়ে গিয়েছে অনন্য উচ্চতায়। সীমানার দুই পাশে দুই দেশ, সংস্কৃতিতে রয়েছে মিল, ইতিহাসও প্রায় একই – কিন্তু সাধারণ মানুষ অন্য দেশের প্রতি প্রায় সময় বিরূপ ধারণা পোষণ করে। মাঝে মাঝে সেটা ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেট মাঠেও। উদাহরণ হিসেবে আফগানিস্তান-পাকিস্তান কিংবা পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের কথাই বলা যায়।

সত্যি বলতে, পাকিস্তান-ভারতকে ম্যাচকে ঘিরে পরিকল্পনা সাজায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এই দুই দলের মাঝে সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ আয়োজন করতে পারলেই যেন স্বস্তি পায় সংস্থাটি।

তবে মজার ব্যাপার, এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের ফাইনাল মুখোমুখি হয়নি এই দুই দেশ। পুঁজিবাদী চিন্তাধারাকে সফলতা দিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশী এবার কি ফাইনালে উঠতে পারবে – দেখার বিষয় বটে।

প্রতিবেশী নয় তবু প্রতিদ্বন্দ্বিতার কমতি নেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও। প্রতিদ্বন্দ্বিতা উভয় দলের সমর্থকদের মানসিকতায় এতটাই ঝেঁকে বসেছে যে তাঁরা সবসময়ই অপর দলের প্রতিপক্ষের জন্য হাততালি দেয়। পাকিস্তান-ভারতের বদলে যদি বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ফাইনালে খেলে সেটাও দর্শকদের জন্য ব্যাপক বিনোদনের কারণ হবে।

সাকিব আল হাসান নিজেই অবশ্য এশিয়া কাপের উত্তেজনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে জানেন। তাঁর আগ্রাসী এপ্রোচ খেলায় ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে তিনি স্ট্যাম্পে লাথি মারেন, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে ব্যাট দিয়েই ভেঙেছিলেন স্ট্যাম্প।

বছর দুয়েক পরে নিদাহাস ট্রফিতে রীতিমতো রুদ্রমূর্তি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এবারের এশিয়া কাপেও তিনি যে এমন কিছু করে বসবেন না সেটির নিশ্চয়তা কই।

সাধারণত বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এর সেক্রেটারি জয় শাহ সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আর তাই বিসিসিআইয়ের একজন সভাপতি আছে সেটা ভুলেই গিয়েছিল মানুষ। তবে এশিয়া কাপের উপলক্ষে পিসিবির ডিনারের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আবারো লাইমলাইটে উঠে আসলেন রজার বিনি।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই এত নাটকীয়তা, খেলা মাঠে গড়ালে আরো কত কি দেখা যাবে সেটা ভেবে ক্রিকেটপ্রেমীরা পুলকিত হতেই পারেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...