ব্রাজিলের সমর্থক তো দূরে থাক, নিন্দুকেরাও কখনো যা ভাবেনি সেটাই এখন টক অব দ্য টাউন – ফুটবলীয় আলোচনায় এখন সবার উপরে যে প্রশ্ন তা হলো ব্রাজিল কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে? হুট করে শুনলে অযৌক্তিক মনেই হতে পারে, তবে বাছাইপর্বের ফলাফল জানলে প্রশ্নটা স্বাভাবিকই মনে হবে।
সবশেষ ম্যাচে ৬২ নম্বর র্যাংকিংয়ে থাকা প্যারাগুয়ের কাছে হেরে বসেছে সেলেসাওরা। অথচ ম্যাচের আগে কোর দরিভাল জুনিয়র প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস নিয়েই জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে তাঁর দল। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়দের পারফরম্যান্স সেই কথাকে যেন ব্যঙ্গ করেছে।
একটা পরিসংখ্যান দেখা যাক, ২০০৩ সাল থেকে ২০২২ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র পাঁচ ম্যাচে হেরেছিল ব্রাজিল। যদিও এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আট ম্যাচ খেলেই চার ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে তাঁরা। আগামী মাসেই আরও দুই ম্যাচ খেলতে হবে তাঁদের। সে দুই ম্যাচও হেরে বসে তাহলে গত প্রায় দুই দশকের মোট হারের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে এক বছরের মধ্যেই।
তবে বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে এখনই দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই, কেননা আগামী বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দল নিয়ে। তাই লাতিন আমেরিকা থেকে মোট ছয়টি দল সরাসরি সুযোগ পাবে টুর্নামেন্টে, এছাড়া সাত নম্বরে থাকা দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ জিতে আসতে পারবে।
আপাতত দশ নম্বর পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে আছে হলুদ জার্সিধারীরা। এই অবস্থান শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারলে সরাসরি বৈশ্বিক আসরে জায়গা পাবে দলটি – যদিও পরের অবস্থানে থাকা ভেনিজুয়েলা, প্যারাগুয়ের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান একদমই কম। তাই তো সতর্ক থাকার কোন বিকল্প নেই।
অবশ্য বাছাই পর্বে আরো দশ ম্যাচ বাকি আছে সব দলেরই, তাই এখনই সমীকরণ মেলানোর সুযোগ নেই। তার চেয়ে বরং ব্রাজিলকে মনোযোগী হতে হবে নিজদের ফর্ম নিয়ে। সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েও তো লাভের লাভ কিছুই হবে না।