ক্রিকেট নদীর মতন; এখানে জোয়ার আছে, আছে ভাটা। ক্রিকেটেও তাই, একদিনের খলনায়ক সময়ের ব্যবধানে বনে যেতে পারেন জয়ের নায়ক। এইতো ইয়াশ দয়ালের কথাই বলা যাক, গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রিংকু সিংয়ের কাছে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হজম করে মানসিকভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অথচ বছর ঘুরতেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের কারণ তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স।
সবশেষ নিলামে ব্যাঙ্গালুরু দলে নিয়েছিল এই বোলারকে। এরপর থেকেই দলটির একাদশের নিয়মিত সদস্য বনে গিয়েছেন তিনি। আহামরি পারফরম করতে না পারলেও ধারাবাহিকভাবেই অবদান রেখেছেন – দিল্লির বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি।
এদিন ৩.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ২০ রান খরচ করেছেন এই পেসার, বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন তিন তিনটি উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই ইনিংসের সেরা বোলার হয়েছেন তিনি। তাইতো মানতেই হবে, প্লে-অফের লড়াইয়ে দলকে টিকিয়ে রাখার পিছনে বড় অবদান রয়েছে তাঁর। কেননা এক ম্যাচ হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়বে বিরাট কোহলিরা।
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই উইকেট শিকারে মত্ত হয়েছিলেন ইয়াশ। নিজের প্রথম বলে ইনফর্ম অভিষেক পোড়েলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। এরপরই ভাগ্যের আশীর্বাদ জুটে তাঁর কপালে; শাই হোপের স্ট্রেইট ড্রাইভে হাত ছুঁইয়ে রান আউট করেন ভয়ঙ্কর জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ককে।
পরের ওভারে অবশ্য খরুচে ছিলেন এই বাঁ-হাতি, তবে ঘুরে দাঁড়াতে বিন্দুমাত্র সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁকে। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে সেট ব্যাটার অক্ষর প্যাটেলকে আউট করেন তিনি। তাতেই ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায়। আনুষ্ঠানিকতাও তাঁর হাত ধরেই শেষ হয়েছিল, কুলদীপ যাদবকে ফিরিয়ে খেলার ইতি টানেন।
চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট শিকার করেছেন এই উদীয়মান তারকা। বোলিং গড় প্রায় ৩০ আর ইকোনমি নয়ের নিচে – গতবারের তুলনায় নিঃসন্দেহে ভাল পারফরম্যান্স করছেন তিনি। এখন উন্নতির ধারা ধরে রাখার পালা।