২০১৪ থেকে ২০১৯ – দীর্ঘ পাঁচ বছর পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ ছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। সেই সময়টা সহজ ছিল না জিম্বাবুয়ের এই গ্রেটের। ড্রেসিংরুমে কিছু মাত্রাতিরিক্ত ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ চরিত্রের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে।
তেমনই এক রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা জিম্বাবুয়ের এই গ্রেট দিলেন ‘ফলোয়িং অন ক্রিকেট পোডকাস্ট’ নামের একটি অনলাইন শো-তে এসে। জানালেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইউনুস খানের সাথে একবার এক আলাপচারিতায় অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়েছিল যে, কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান ছুরি চেপে ধরেছিলেন ফ্লাওয়ারের গলায়। শেষ অবধি তৎকালীন কোচ মিকি আর্থারের মধ্যস্ততায় সেখানেই ঘটনার ইতি হয়।
ফ্লাওয়ার বলেন, ‘ইউনুস খানকে কিছু শেখাতে যাওয়াটা খুবই কঠিন ব্যাপার। অবশ্যই, ওর ক্যারিয়ারটা খুবই দারুণ। ব্রিসবেনের একটা ঘটনার ওর ব্যাপারে না বললেই নয়। টেস্ট চলছিল, আমরা ব্রেকফাস্ট টেবিলে ছিলাম। আমি ওকে একটু ব্যাটিং পরামর্শ দিতে চেষ্টা করেছিলাম। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আমার ক্যারিয়ার ওর পরিসংখ্যানের ধারের কাছেও নয়। হবে কি করে, ও তো টেস্টে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আমার পরামর্শ দিতে আসাটা ভাল ভাবে নেয়নি ইউনুস খান। একটা ছুরি এনে আমার গলায় চেপে ধরে। পাশেই মিকি আর্থার বসা ছিলেন। মধ্যস্থতা করতে তাঁর না আসা বাদে আর কোনো উপায় ছিল না।’
গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার আরও বলেন, ‘এটা খুবই মুখরোচক ঘটনা। তবে, এটা কোচিংয়েরই একটা অংশ। এই যাত্রাটায় এমন সময় আসবে। তবে, সত্যি কথা হল আমি উপভোগ করেছি। আমার এখনও অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। এই অবস্থানে আসতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’
ব্রিসবেনে সেই একটা টেস্টই খেলেন ইউনুস। প্রথম ইনিংসে ‘ডাক’ মারার পরের ইনিংসে করেন ৬৫ রান। তবে, ইউনুসের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সেই সফরটা স্মরণীয়। কারণ সিডনিতে তিনি সিরিজ শেষ করেছিলেন ১৭৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস দিয়ে।
মজার একটা ব্যাপার না বললেই নয়। এই ইউনুস খানও পরবর্তীতে লম্বা সময় কাজ করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ হিসেবে। সেখানে অবশ্য তাঁর বিদায়টাও সুখকর হয়নি।