টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের দামামার মধ্যেই চলছে ২৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে ২০২২-২৩ মৌসুমের খেলা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টায়ার-১ এর চতুর্থ রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলো সিলেট বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ। ম্যাচে অধিনায়ক জাকির হাসানের ডাবল সেঞ্চুরির উপর ভর করে বিশাল স্কোর গড়েছে সিলেট বিভাগ।
টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা বিসিবি। ফলশ্রুতিতে এবারের লিগে কোকাবুরা কিংবা এসজি বলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিউক বল। সাথে আগের বারের মতো ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের পরিবর্তে ঘাসের পিচে ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে।
ডিউক বল আর সবুজ পিচ এই দুই হাতিয়ার পাওয়ার পর যেন নতুন জীবনীশক্তি পেয়েছেন দেশের পেসাররা। গতি আর সুইংয়ে রীতিমতো ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলছেন তারা। তবে সিলেটে পেসার রাজত্বের মধ্যেও জ্বলে উঠলেন উইকেট কিপার ব্যাটার জাকির হাসান। ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিলের মধ্যে তুলে নিলেন চলমান জাতীয় লিগেের দ্বিতীয় দ্বি-শতক। এর আগে রংপুর বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন এবারের লিগেের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট বিভাগের অধিনায়ক জাকির হাসান। ওপেনিংয়ে ৯৪ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ হাসান ও তৌফিক খান। রনি চৌধুরীর বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে তৌফিক খান ফিরে গেলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। এরপর ১১৮ রানে আরেক ওপেনার ইমতিয়াজ হাসানের আউটের পর মাঠে নামেন জাকির হাসান। প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের বোলিংকে হতাশা উপহার দিয়ে শতক তুলে নেন। দিনশেষে ১৩২ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার।
দ্বিতীয় দিনে ব্যাট হাতে শুরু থেকেই আগের দিনের তুলনায় আক্রমণাত্মক ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। দলের মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা একে একে ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে অধিনায়ক ছিলেন অসাধারণ। লাঞ্চ বিরতির আগেই নিজের ডবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ইনিংসের ১২৪.৩ ওভারে চট্টগ্রামের স্পিনার মুরাদের বলে চার মেরে দ্বি-শতক পূর্ণ করেন এই ব্যাটার। আগের দিনের ১৩২ এর সাথে ৬৮ যোগ করে ২৯০ বলে মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
জাকিরের ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৮১ রান করেছে সিলেট বিভাগ। এরপর দিনের খেলা শেষ হবার আগ পর্যন্ত এক উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ওদিকে সিলেটের হয়ে আবারো পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন হাসান মুরাদ।